ইতালির দক্ষিণে অবস্থিত এক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে, সেখানকার গ্রামে কেউ যদি বসতি গড়ে তাহলে তাকে তিন বছর ধরে মাসে ৭০০ ইউরো তথা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৫ হাজারের বেশি টাকা প্রদান করা হবে। তবে শর্ত একটাই সেখানে যাওয়ার পর ছোটখাটো একটা ব্যবসা চালু করতে হবে।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের অনলাইন প্রতিবেদন থেকে এ খবর জানা গেছে। গ্রামগুলোর জনসংখ্যা অনেক কম। তাই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে অন্তত ২ হাজারের কম মানুষ বসবাস করে এমন গ্রামগুলোতে গেলেই এই সুবিধা দেয়া হবে।
দক্ষিণ ইতালির ওই অঞ্চলের নাম মোরিস। সেখানকার প্রেসিডেন্ট দোনাতো টোমা গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘আমরা তহবিলের যোগান দিলে তা একটি দাতব্য ব্যাপার হয়ে যেত। আমরা আরও বেশি কিছু করতে চাই। আমরা চাই মানুষ এখানে নিজে বিনিয়োগ করুক।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা যেকোনো ধরনের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবেন। এটা হতে পারে খাবারের দোকান, রেস্তোরাঁ, স্টেশনারি দোকান কিংবা ছোটখাটো অন্য যেকোনো কিছু। আমাদের শহরে মানুষের আনাগোনা বৃদ্ধির উপায় হিসেবে আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি।
মোরিসের প্রেসিডেন্ট টোমা আরও ঘোষণা দিয়েছেন, যেসব শহরে ২ হাজারের কম মানুষ বসবাস করে তাদের প্রত্যেকেই প্রতি মাসে ১০ হাজার ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৩ হাজার টাকা) করে দেয়া হবে। যার মাধ্যমে অবকাঠামো নির্মাণ ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে গতি আসবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এটা শুধু জনসংখ্যা বৃদ্ধির কোনো ব্যাপার নয়। মানুষের আর অবকাঠামো এবং এখানে থাকার উপায় থাকতে হবে। অন্যথায় তাহলে আমরা এটা বন্ধ করে দিব গত বছর ধরে আমরা যেটা শুরু করেছিলাম।’
ইতালির জাতীয় পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউটের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মলিস অঞ্চেলের মোট জনসংখ্যা ৩ লাখ ৫ হাজার। গত কয়েক বছর ধরে দেশটির যেসব অঞ্চলে মানুষের বসতি কমে যাচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম হলো এই অঞ্চল। ২০১৪ থেকে এখানকার ৯ হাজারের বেশি মানুষ স্থায়ীভাবে চলে গেছে।
জাতীয় পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে প্রায় তিন হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে কিংবা অন্যত্র চলে গেছেন। যা আগের বছরের তুলনায় ১ হাজারেরও বেশি। অঞ্চলটির নয়টি শহরে গত বছর কোনো জন্ম নিবন্ধন হয়নি। যা গত ৯০ বছরে প্রথম।