Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

abahaniবঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের প্রেসবক্সের সামনের গ্যালারিতে উত্তর কোরিয়ার জনা বিশেক সমর্থক দেশটির পতাকা দুলিয়ে সমর্থন দিচ্ছিল তাদের দেশের ক্লাব এপ্রিল টোয়েন্টিরফোর এসসিকে। তাদেরই ডান পাশে আবাহনী গ্যালারি প্রায় পরিপূর্ণ আকাশী-হলুদ সমর্থকে।

আবাহনীর গোলের পর পশ্চিম গ্যালারি নেচে উঠে। পরক্ষণেই কোরিয়ানদের পতাকা উঁচিয়ে গোলের আনন্দ। দুই দেশের দুই ক্লাবের মধ্যকার এএফসি কাপের ইন্টার জোন প্লে-অফ সেমিফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচে দর্শকরা প্রাণভরে দেখলো গোল। ৭ গোলের ম্যাচ শেষে স্কোর আবাহনী-৪ : এপ্রিল টোয়েন্টিফাইভ-৩।

chardike-ad

ধারে-ভারে আবাহনীর চেয়ে এগিয়ে উত্তর কোরিয়ান ক্লাবটি। ম্যাচ শুরুর আগে ২০১০ বিশ্বকাপে খেলা এই দেশটির ক্লাবকে ফেবারিটই মনে করেছিল সবাই; কিন্তু ঘরের মাঠে আবাহনী খেললো দুর্দান্ত ফুটবল। ৩৩ মিনিটে সোহেল রানার বাঁ-পায়ের দুর্দান্ত শটে এগিয়ে যায় আবাহনী। দুই মিনিট পর রক্ষণের ভুলে সমতায় ফেরে সফরকারী দলটি। ৩৭ মিনিটে নাবিব নেওয়াজ জীবনের গোলে আবার এগিয়ে যায় আবাহনী। ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যেই দ্বিতীয় গোল হজম আবাহনীর। ৫৪ মিনিটে স্কোর ২-২।

abahani-supporterএর পর আবাহনীর দুই বিদেশি হাইতির বেফোর্ট ও নাইজেরিয়ার সানডে ঝড়। তাদের রসায়নে এলোমেলো কোরিয়ান ক্লাবের ডিফেন্ড। টুটুল হোসেন বাদশার পাস থকে ৫৭ মিনিটে গোল করে ৩-২ করেন সানডে। ৬১ মিনিটে বেলফোর্ট থেকে বল পেয়ে করেন ৪-২।

৭৭ মিনিটে তৃতীয় গোল করে ব্যবধান কমিয়ে আনলেও হার এড়াতে পারেনি এর আগে দুইবার এএফসি কাপের ইন্টার জোন প্লে-অফ সেমিফাইনালে খেলা কোরিয়ান ক্লাবটি। ঘরের মাঠে ৪-৩ গোলের অবিস্মরণীয় এক জয়ে ফাইনালে ওঠার আশা বাঁচিয়ে রাখলো আবাহনী।

আগামী ২৮ আগস্ট উত্তর কোরিয়ার পিয়ংইয়ংয়ে হবে ফিরতি ম্যাচ। ফাইনালে উঠতে হলে আবাহনীকে নিদেনপক্ষে ড্র করতে হবে অ্যাওয়ে ম্যাচে।