দক্ষিণ কোরিয়ার ইকসান শহরে বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদ পুনর্মিলনী। বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন ইকসান আয়োজিত এই পুনর্মিলনীতে উপস্থিত ছিলেন ওয়াঙ্কওয়াং ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রী , চনবুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইকসান শাখার ছাত্র-ছাত্রী এবং ইপিএস কর্মীসহ ইকসান শহরের আশেপাশের বিভিন্ন এলাকার প্রবাসী বাংলাদেশীরা অংশ গ্রহন করেন। গতকাল রোববার এ অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়।
আয়োজনে বাংলাদেশী মজার মজার খাবারের পাশাপাশি বিভিন্ন রকম গেইমের ব্যাবস্থা ছিলো। দক্ষিণ কোরিয়ায় ঈদের জন্য কোন ছুটি বরাদ্দ নেই, তাই বলে প্রবাসী বাংলাদেশীরা তাদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল আজহা পালনে বাধা হতে পারে না। তাই ঈদ পরবর্তী সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সবাই ঈদের আনন্দে মেতে উঠে।
তিন পর্বের অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিলো বাংলাদেশী সব মজাদার খাবারের সমরোহ। দ্বিতীয় পর্বে ছিলো ফর্মাল প্রোগ্রাম এবং ইনডোর গেইম। এবং সবশেষে ছিলো প্রীতি ক্রিকেট খেলা এবং পুরস্কার বিতরণ।
বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন ইকসানের এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর ড. মোক্তার হোসাইন এবং সঞ্চালক ছিলেন কাজী জিন্নাহ। অনুষ্ঠানে ওয়াঙ্কওয়াং ইউনিভার্সিটি পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম, চনবুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মো: আনোয়ার হোসেন এবং ইপিএস কর্মীদের পক্ষ থেকে নিজদের অনুভূতি ব্যাক্ত করেন ফরহাদ হোসেন।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে চনবুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে সদ্য পিএইচডি ডিগ্রিপ্রাপ্ত ড.ফেরদৌস মো: আলতাফ হোসাইন বিদায়ী বক্তব্য এবং সৃতিচারণ করেন। উল্লেখ্য, ড.ফেরদৌস ইকসানে অবস্থিত মসজিদে দীর্ঘদিন ইমামতির পাশাপাশি বিভিন্ন সোস্যাল কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। ড. ফেরদৌস সবাইকে এই প্রোগ্রামের ধারাবাহিকতা রাখার অনুরোধ করেন। এরপরই সমাপনী বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. মোক্তার হোসাইন।
সবশেষে ওয়াঙ্কওয়াং ইউনিভার্সিটি বনাম চনবুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় প্রীতি ক্রিকেট খেলা। এরপরই দিনের সূর্য অস্ত যাবার সাথে সাথে প্রোগ্রামের সমাপ্তি হয় এবং সেই সাথে ফিরে যায় নিজ নিজ গন্তব্যে।
লেখক: মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম, পিএইচডি স্টুডেন্ট, ওয়াঙ্কওয়াং ইউনিভার্সিটি, দক্ষিণ কোরিয়া।