জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে এখন ঘোরতর দুর্যোগ। আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় তারা এখন আন্তর্জাতিক আঙিনায় নিষিদ্ধ। ফলে আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বও খেলতে পারছে না দেশটি। জিম্বাবুয়ের বদলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে খেলবে নাইজেরিয়া। অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো।
আফ্রিকা থেকে তৃতীয় হয়ে বাছাইপর্বে এসেছে নাইজেরিয়া। এই মহাদেশ থেকে খেলছে আরও দুটি দল-কেনিয়া এবং নামিবিয়া। তাদের সঙ্গে বাছাইপর্বে থাকবে সংযুক্ত আরব আমিরাত, হংকং, আয়ারল্যান্ড, জার্সি, নেদারল্যান্ডস, ওমান, পাপুয়া নিউগিনি, স্কটল্যান্ড, সিঙ্গাপুর এবং আমেরিকায় ফাইনাল খেলা দুটি দল। এদের থেকে সেরা ছয়টি দল ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা করে নেবে। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় অক্টোবর-নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে এই বিশ্বকাপ।
জিম্বাবুয়ে বাদ যাওয়ার অর্থ এবার কমপক্ষে একটি সহযোগি দেশ ১২ দলের বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াসহ ২০১৮ সালের শেষে আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে থাকা সেরা আট দল সরাসরি খেলবে বিশ্বকাপে।
বাকি ৪ দলকে বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসতে হবে। এর মধ্যে আছে বাংলাদেশও। অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে যে ছয় দল বাছাইপর্বে উঠে আসবে তারা ওপেনিং রাউন্ডে লড়বে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
চারটি করে দল দুটি গ্রুপ হয়ে খেলবে। প্রতি গ্রুপ থেকে সেরা দুটি দল মূল টুর্নামেন্টে জায়গা করে নেবে। সেক্ষেত্রে টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ্যে যদি বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা আর আয়ারল্যান্ড বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিতও করে নেয়, তবু কমপক্ষে একটি সহযোগি সদস্য দেশ আসন্ন টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পাচ্ছে।