ভারত কোন ধরনের আক্রমণ চালালে পাকিস্তান উপযুক্ত জবাব দেবে। রোববার ইসলামাবাদের এক বিশেষ বৈঠকের পর এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী পারভেজ খটক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইজাজ শাহ ও দেশের তিন বাহিনীর প্রধান, গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর প্রধান লে. জেনারেল ফায়েজ হামিদ এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা।
বৈঠকের পর ইমরান খানের কার্যালয়ে থেকে বার্তা দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়েছে, আমরা ভারতের যে কোনো আক্রমণের জবাব দিতে প্রস্তুত। সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্ততাকারী হিসেবে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। গত মাসে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকের পর ইমরান খান তাকে এই সংকট সমাধানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালে, তিনি জানান যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও তাকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ট্রাম্পের ওই বিবৃতির পর ভারতের তরফ থেকে জানানো হয় যে, নরেন্দ্র মোদি কখনওই তার কাছে এ বিষয়ে সহযোগিতা চাননি। তারপর থেকে কাশ্মীর ইস্যুতে নতুন করে পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়।
ইমরান খান এক বিবৃতিতে বলেন, কাশ্মীরের মানুষকে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সমর্থন দিয়ে যাব। একই সঙ্গে ভারতের বিরুদ্ধে যে কোনো পরিস্থিতিতে পাল্টা জবাব দেয়ার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। এদিকে, সোমবার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে এই বৈঠক শুরু হয়।
ওই বৈঠকে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ভারতীয় সংবিধানে কাশ্মীরকে দেয়া বিশেষ মর্যাদা ৩৭০ ধারা বাতিলের নির্দেশনা দিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি। উল্লিখিত ধারাটি বাতিলের কারণে অবধারিতভাবে সংবিধানের ৩৫-ক ধারারও বিলুপ্তি ঘটলো।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর রাজ্যসভায় এ ঘোষণা দেন। বিজেপি জোটের নির্বাচিত প্রতিশ্রুতি ছিল কাশ্মীরের বিশেষ সুবিধা বাতিল করা।