ফের সক্রিয় হয়ে ওঠছে মানবপাচারকারী চক্র। চক্রের প্ররোচণায় সাগরপথে মালয়েশিয়া প্রবেশের দায়ে প্রতিনিয়তই আটক হচ্ছেন বাংলাদেশিরা। গত এক মাসে ৪৬ বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। উভয় দেশের কঠোর অবস্থানের পরও সাগরপথে চলছে মানবপাচার।
৩ আগস্ট বেটালিয়ান চারের একটি অভিযানে সেলাংগারের কামপুং তাংজুন সেপাং এলাকা থেকে ১৩ জন বাংলাদেশিকে আটক করে। ব্যাটালিয়ন চারের কমান্ডার জুলফেন্ডি সাংবাদিকদের জানান, আটক সবাই এদেশে অবৈধভাবে প্রবেশ করে। এরপর তারা প্রাইভেট কারে করে গন্তব্য স্থানে যাওয়ার সময় সন্দেহ হলে ওই প্রাইভেট কার চেক করে ১৩ জন বাংলাদেশিসহ স্থানীয় চারজনকে আটক করে পুলিশ।
গত ৬ জুলাই অবৈধভাবে প্রবেশের দায়ে আটক হয় আরও ৩৩ বাংলাদেশি। একটি সূত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়া থেকে সবুজ সংকেতের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে অবৈধপথে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের নিয়ে আসছে মানবপাচারকারী চক্র। যার নেপথ্যে রয়েছে উভয় দেশের রাঘববোয়ালরা। জনপ্রতি তিন থেকে চার লাখ টাকা চুক্তির বিনিময়ে মালয়েশিয়ায় নিয়ে আসছে।
পৌঁছানোর পর টাকার বিনিময়ে মুক্তি দেয়া হয় এ পথে আসা বাংলাদেশিদের। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যতদিন না এ চক্রের মূল উৎপাটন না করা হয় ততদিন সাগরপথে লোক আসবেই। ঢিলেঢালা অবস্থানে থেকে এ পথ বন্ধ করা যাবে না। ওই প্রবাসী বলেন, আটক হওয়া বাংলাদেশিদের বাড়িতে যোগাযোগ করলেই বেরিয়ে আসবে কারা এই কলকাঠি নাড়ছে এবং কারা এই মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত।
এদিকে দেশটিতে থাকা অবৈধ অভিবাসীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। ১ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে বিফোরজি নামের এ কর্মসূচি। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের অবৈধ অভিবাসীরা নিজ নিজ দেশে মালয়েশিয়া ছাড়তে শুরু করেছে। এ কর্মসূচির অধীনে প্রায় ৪ লাখ অবৈধ অভিবাসী দেশে ফিরে যাবে বলে জানিয়েছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ