মাত্র ২৭ বছরের মোহাম্মদ আমিরের টেস্ট থেকে অবসর নেয়ার ঘটনায় কোনো সমবেদনা নেই। উল্টো পাকিস্তানের নামীদামী সাবেকরা তুলোধোনা করছেন প্রতিভাবান এই পেসারকে। ওয়াসিম আকরাম, শোয়েব আখতাররা রীতিমতো সরব।
অবসরের একদিন পর আরেক নতুন খবর বের। যাতে শোনা যায়, ব্রিটিশ নাগরিকত্ব চাইছেন পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার। কারণ, ভবিষ্যতে পাকাপাকিভাবে ইংল্যান্ডেই বসবাস করতে চান তিনি।
এবার বেরিয়ে এল আরও বিস্ফোরক খবর। ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার পরিকল্পনা করছেন আমির। ভিনদেশে জন্মানো খেলোয়াড়দের ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড যে খেলতে দেয় সে কথা উল্লেখ করে আমির ইস্যু উসকে দিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ।
২০১৬’র সেপ্টেম্বরে পাকিস্তান বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক নারগিস মালিককে বিয়ে করেন আমির। এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানায়, এরই মধ্যে আবার ‘স্পাউস ভিসা’ (স্বামী বা স্ত্রীকে যুক্তরাজ্যে নেয়ার ভিসা) আবেদন করেছেন তিনি। যা তাকে ৩০ মাস পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে থাকার অনুমতি দেবে।
‘স্পাউস ভিসা’ পেলে ২৭ বছরের আমির সেখানে কাজ করতে পারবেন এবং তার সাথে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও নিতে সক্ষম হবেন। শুধু নাগরিকত্ব চাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই আমির। বাঁহাতি পেসার লন্ডনে একটি বাড়িও কিনতে চাইছেন।
তবে পত্রিকাটি এটা স্পষ্ট করে জানাতে পারেনি যে, কখন, কোথায় এবং কীভাবে আমির ‘স্পাউস ভিসা’র আবেদন করেছেন। তার উপর স্পট ফিক্সিংয়ের অপরাধে জড়িয়ে এই ইংল্যান্ডেই জেল খেটেছিলেন তিনি। যদিও ওই ঘটনার পর পাকিস্তান দলের সঙ্গে অনেকবারই ইংল্যান্ড ভ্রমণ করেছেন আমির। স্থায়ীভাবে বসবাসের পর, এই পেসার ব্রিটিশ পাসপোর্টের জন্যও আবেদন করতে পারবেন।
আমির ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পেলে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে পারবেন বলে জানাচ্ছে টেলিগ্রাফ। ২০১৮ সালের নভেম্বরে নতুন আইন পাশ করে ইংল্যান্ড। যেখানে বলা হয়েছে, ইংল্যান্ডে তিন বা তার বেশি সময় স্থায়ী হলে তারা ইংল্যান্ড দলের জন্য নির্বাচিত হতে পারবেন।
যে আইনের বলে এবার ইংল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপ খেলেছেন জ্যামাইকায় জন্ম নেয়া জফরা আর্চার। ইংলিশদের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম হিরোও তিনি। টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডে এবং টি-টুয়েন্টি খেলে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন আমির।