কানাডার মারখামের ক্যাসেলমোর এভিনিউয়ের একটি বাসা থেকে এক দম্পতিসহ ৪ বাংলাদেশির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় পুলিশ। নিহতরা হলেন, মোহাম্মদ মনির ও তার স্ত্রী মুক্তা জামান, এই দম্পতির মেয়ে, এবং কানাডায় বেড়াতে আসা মুক্তা জামানের মা। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২০ বছর বয়সী এক যুবককে আটক করা হয়েছে। নিহতদের পরিচিত কয়েকজনের দাবি, আটক যুবক নিহত দম্পতির ছেলে।
স্থানীয় সময় রোববার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। কানাডা থেকে প্রকাশিত অনলাইন পোর্টাল ‘নতুন দেশ’ ও কানাডিয়ান বাংলাদেশি নিউজ (সিবিএন) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে ওই সংবাদ মাধ্যম দুটি জানায়, পুলিশের কাছে খবর আসে, একটি বাসায় কয়েকজন মানুষ আহত হয়েছেন। এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা মৃতদেহগুলো উদ্ধার করেন। এসময় ওই বাসায় থাকা ২০ বছর বয়সী এক যুবককে আটক করে পুলিশ।
কানাডায় বসবাসরত নাফিয়া ঊর্মি নামের এক বাংলাদেশি জানান, নিহত দম্পতির ছেলে সম্ভবত মানসিকভাবে বিকারগ্রস্থ ও মাদকাসক্ত ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, খাবারে কিছু মিশিয়ে অজ্ঞান করার পর ছুরিকাঘাতে তাদের হত্যা করা হয়। এরপর সে গেম খেলতে থাকে। পরিবারের সদস্যদের খুন করার বিষয়টি ওই ছেলেই তার এক বন্ধুকে ফোন করে জানায়।
হত্যাকাণ্ডের বিষয় নিয়ে কানাডায় বসবাসরত অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা রকমের পোস্ট করে বিষয়টি নিশ্চত করেছেন।
কানাডার কমিউনিটির পরিচিত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব তানভীর কোহিনুর ফেসবুকে এক পোস্টে বলেছেন, ‘‘গত ২৯ জুন এক চমৎকার বাংলাদেশি দম্পতির ২৫তম বিবাহ বার্ষিকীতে উপস্থাপনা করেছিলাম। আজকের খবরে বারবার বলছে যে একটা বাসা থেকে চারটা লাশ উদ্বার করা হয়েছে, এটা নাকি তাদের বাসা। বিশ্বাস করতে পারছিনা!! খবরটা যেনো ভুল হয়। কিছুক্ষণ পরে এক পোষ্টে তিনি উল্লেখ করেছেন, আহা! ঘটনা আসলেই সত্যি!’’
এ ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ নিহতদের পরিচয়, বয়স, নারী কিংবা পুরুষ কোনো ধরনের তথ্যই প্রকাশ করেনি। পুলিশ বলেছে, তারা তদন্তের একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।