বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলতে না পারার কারণে এমনিতেই পাকিস্তান ক্রিকেট দল নিয়ে দেশটিতে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। এরই মধ্যে বিতর্ক ছড়িয়েছে সাবেক অলরাউন্ডার আবদুল রাজ্জাকের নামে। এবার নতুন করে নারী কেলেঙ্কারি জড়িয়ে পড়েছেন পাকিস্তানি ওপেনার ইমাম-উল হক। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ভাইরাল হয়ে গেছে ইমাম-উল হকের নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা।
কী করেছেন ইমাম-উল হক? টুইটারেই এখন ভেসে বেড়াচ্ছে একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট। ভাইরাল ওই সেই স্ক্রিনশটে দেখা যাচ্ছে, একটি মেয়ের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথন চলছে ইমামের।
যে স্ক্রিনশট দেখলে পরিষ্কার, পাক ওপেনারের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে ওই মেয়েটির। পরের দিকে আবার দেখা যাচ্ছে, ইমামের উপরে অত্যন্ত রেগে যান সেই মেয়েটি। তিনি অভিযোগ করেছেন, একাধিক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক আছে পাক ক্রিকেটারের। চ্যাটে সেই মেয়েটি লেখেন, ‘আমাকে কেন বলেছিলে, ভালবাসো? কেন বলেছিলে, তোমার কাছে যেতে? কারণ তুমি এক জন জঘন্য মানুষ। যৌনতা ছাড়া তুমি কিচ্ছু বোঝো না।’
জানা গেছে, সেই মেয়েটি একজন পরিচিতের সাহায্যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের সেই স্ক্রিনশট টুইটারে ছড়িয়ে দেন। অভিযোগ করা হয়েছে, গত ছয় মাস ধরে এই ঘটনা চলছে। এই সময়ের মধ্যে ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ ক্রিকেটও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এও বলা হয়েছে, সাত-আটটি মেয়ের সঙ্গে ইমানের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। যারা ওই মেয়েটির কাছে সে খবর জানিয়ে দিয়েছেন। মেয়েটি সে প্রসঙ্গ তুলে প্রশ্নের মুখে ফেলেন ইমামকেও। এই ঘটনার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পরেই বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। বলা হচ্ছে, এরপর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড কি কড়া সিদ্ধান্ত নেবে ইমামের বিরুদ্ধে?
পাকিস্তানের সিনিয়র স্পোর্টস রিপোর্টার আবদুল মজিদ ভাট্টি জিও টিভিকে দেয়া একা সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ইমাম-উল হক যখন উঠতি তরুণ-যুবকদের রোল মডেল হতে যাচ্ছেন, তখনই তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ ওঠা সত্যিই আশঙ্কাজনক। এটা অ্যালার্মিং। একজন শিক্ষিত ক্রিকেটার হওয়া সত্ত্বেও এ ধরনের কেলেঙ্কারিতে জড়ানো অবশ্যই হতাশাজনক।’
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি নারীর প্রতি অসৌজন্যমূলক ভাষা প্রয়োগের কারণে দুই ক্রিকেটারকে নিষিদ্ধ করেছিল ভারতীয় ক্রিকটে বোর্ড। ইমাম-উল হক যখন থেকে পাকিস্তান দলের হয়ে খেলতে শুরু করেন, তখন তাকে অনেক বেশি দায়িত্বশীল মনে হতো। কিন্তু এখন যেটা শোনা যাচ্ছে, তা দুঃখজনক।’