প্রেমের কোন দেশ-কাল-পাত্র নেই। তাইতো সাতসমুদ্র তেরো নদীর দূরত্ব আর ভালবাসার বিয়েকে পরিবার প্রথমে মেনে না নেয়ার প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে অনেকটা সময় অপেক্ষার পর অবশেষে নিজ দেশ ছাড়লেন মার্কিন নারী সার্লেট। বিয়ে করলেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর এলাকার সফিক উল্যাহর ছেলে সোহেল হোসেনকে।
জানা যায়, ২০১৩ সালের ৪ঠা নভেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। এরপর বন্ধুত্ব, অত:পর প্রেম। ২০১৬ সালের জুলাই মাসে সার্লেট বাংলাদেশে আসেন। ১৭ জুলাই বিয়ে করেন প্রেমিক সোহেলকে। দীর্ঘসময় পর উভয়ের পরিবার মেনে নেওয়ায় চলতি বছরের ১২ জুলাই আবার বাংলাদেশে আসেন সার্লেট। তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৬ জুলাই বরণ করে নেওয়া হয়। বেজে উঠে বিয়ে সানাই। সোহেলের নিজ বাড়িতেই অতিথিদের আপ্যয়ন করা হয়।
এদিকে বিয়ের পর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেশ ভাইরাল হয়। নবদম্পতির নাম এলাকার সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। তাদের দেখতে সোহেলদের বাড়িতে আসেন হাজার হাজার মানুষ। মার্কিন এই নারীর বাড়ি আমেরিকার নিউ জার্সিতে।
বাংলাদেশের গ্রামীণ বিয়ের পরিবেশসহ অন্যান্য বিষয়ে উচ্ছস্বিত সার্লোট বলেন, ‘আমি খুবই খুশি। আশা করি অনেক সুখী হব।’ স্বামী সোহেল জানান, ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়ের পর তাদের বন্ধুত্ব হয়। এপরপর দুইজন প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ হন। এক পর্যায়ে ২০১৬ সালে তারা বিয়ে করেন। এরপর স্ত্রী সারলেট আমেরিকায় চলে যান। চলতি বছরের ১২ জুলাই আবারো সে বাংলাদেশে আসেন এবং গ্রামের বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদেরকে বরণ করে নেয় সোহেলের পরিবার।
আমেরিকান বউ পেয়ে খুশি সোহেলের মা রহিমা বেগম। তিনি বলেন, “বউমা বাংলায় কথা বলতে পারে না, তবে আস্তে আস্তে বলা শিখে যাবে।”