Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

afgan-bdব্যর্থতা যেন পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশের। ক’দিন আগেই হতাশা নিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে দেশে ফিরেছে জাতীয় দল। সেই হতাশা এবার নতুন মাত্রা যোগ করল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় চারদিনের ম্যাচে আফগানিস্তানের সঙ্গে ড্র করে শেষ পর্যন্ত সিরিজ হার মানতে হয়েছে তাদের। কেননা প্রথম ম্যাচে আফগানদের কাছে ৭ উইকেটের শোচনীয় পরাজয় মেনে নেয় ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বাধীন এই দল।

অবশ্য এই হারের দায় কিছুটা বৃষ্টিরও রয়েছে। টস হেরে বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় আফগানরা। বৃষ্টির জন্য দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম দিনে মাত্র ৭.৪ ওভারই মাঠে গড়িয়েছে। অথচ এর মধ্যেই ১ উইকেট হারিয়ে ১৮ রানে দিন শেষ করে টাইগাররা। একই কারণে পরিত্যক্ত হয়েছে দ্বিতীয় দিনের খেলা।

chardike-ad

তৃতীয় দিন আবারো হানা দেয় বৃষ্টি। যার জন্য দিনের তিন ভাগের মাত্র এক ভাগই খেলতে পারে দুই দল। ৪১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১১২ রানে দিন শেষ করে টাইগার। ৬৫ রান করে দিনের একমাত্র উইকেট হিসেবে আউট হন বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নাঈম। রকিবুল হাসান ৩৮ রান ও ফজলে মাহমুদ ৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।

শেষ দিন বাগড়া দেয়নি বৃষ্টি। ছিলো না মেঘের ছায়াও। সুতরাং পূর্ণ খেলাই অনুষ্ঠিত হয়। তবে এটা অনুমিতই ছিল যে ড্রয়ের পথেই এগোচ্ছে ম্যাচ। কিন্তু ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে খেলার রোমাঞ্চ বাড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দিন শেষ হওয়ার আগেই ২০০ রানের মধ্যে অল আউট হয়ে তারা। আফগানদের হয়ে সমান ৩টি করে উইকেট নেন কায়েস আহমেদ, শারাফুদ্দিন আশরাফ, ইয়ামিন আহমাদ জাই।

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারালেও দিন শেষ নামের পাশে ভালো সংগ্রহ গড়ে আফগানিস্তান। ইব্রাহিম জাদরান ও বহির শাহর ১৩৪ রানের জুটিতে দিন শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রান করে দলটি।

বহির ফিফটি করলেও মাত্র চার রানের জন্য সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হন ইব্রাহিম। তবে ঠিকই ম্যাচ সেরার পুরস্কারটা ভাগিয়ে নেন এই ব্যাটসম্যান। এবং দুই ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হন আফগান লেগ স্পিনার কায়েস আহমেদ।

আগামী ১৯ জুলাই থেকে এই চট্টগ্রামেই শুরু হবে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ।