নাম এনালিনি রোজালেস ফ্লোরেস। বাড়ি ফিলিপাইনের ভিনগেট প্রদেশের ভাগিউ সিটির সেন্ট্রাল ফেয়ারভিউ গ্রামে। ওই গ্রামের পাপিনিয়ামো সাভান্ডাল ফ্লোরেস এবং ক্রিসটিটা রোজালেস ফ্লোরেস এর সন্তান তিনি। অনলাইনে বাংলাদেশের কৃষ্টি কালচার সম্পর্কে জেনেছেন তিনি। সেই থেকে বাংলাদেশের প্রতি দুর্বলতা তার। এই সূত্রেই ফেসবুকে পরিচয় হয় বাংলাদেশের মো. জহিরুল ইসলাম রাজন এর সাথে।
রাজনের বাড়ি কিশোরগঞ্জ শহরের পুরাতন কোর্ট রোডে। হাজী মো. আব্দুর রশিদেও দ্বিতীয় ছেলে তিনি। প্রথমে দুইয়ের মধ্যে জানাশোনা। এর পর রাত জেগে চ্যাটিং এর পর চ্যাটিং। বাড়তে থাকে প্রেম, আগ্রহ। গভীর প্রেমে দুইজন দুই দেশে থাকলে কি ভালো লাগে? সিদ্ধান্ত হলো দুইজন একত্রিত হওয়ার। এনালিনি পাসপোর্ট করলেন। ভিসাও পেলেন। চলে এলেন বাংলাদেশে। প্রেমিক রাজনের কাছে।
এনালিনি গত ২৭শে জুন রাজনের বাসায় এসে উঠলেন। এরপর প্রেমিক মো. জহিরুল ইসলাম রাজন এর পরিবারের সম্মতিতে শুক্রবার (৫ই জুলাই) মহা ধুমধামে দু’জনের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ঠা জুলাই) সন্ধ্যায় বিশাল আয়োজনে দু’জনের হলুদ সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (৫ই জুলাই) দুপুরে শহরের গাইটাল এলাকার অতিথি কমিউনিটি সেন্টারে রাজন-এনালিনি’র বিবাহোত্তর বৌ-ভাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে অন্তত হাজারখানেক অতিথি অংশ নেন।
কিশোরগঞ্জে আসার পর এনালিনি রোজালেস ফ্লোরেস এর নাম পরিবর্তন করে ‘জান্নাতুল ফেরদৌস জান্নাত’ রাখা হয়। এছাড়া ইসলামী বিধান মতে তাদের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। হলুদ সন্ধ্যা এবং বিয়ে ও বিবাহোত্তর বৌ-ভাত অনুষ্ঠানে ফিলিপিনো তরুণী এনালিনিকে বেশ উচ্ছ্বল দেখাচ্ছিল বলে এসব অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া অতিথিরা জানিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জের ছেলের সাথে ফিলিপিনো মেয়ের বিয়ের ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে রাজনের সাথে এনালিনি’র প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। যোজন যোজন দূরত্বের দুই দেশের বাসিন্দা হলেও শেষ পর্যন্ত হৃদয়ের টানে তারা একত্রে মিলিত হয়েছেন।