ছেলে থাকেন পাকা দোতলা দালানে, তবে তার জন্মধাত্রী মায়ের জায়গা হয়নি তাতে। ওই বৃদ্ধার ঠাঁই হয়েছে ঝুপড়ি ঘরে। ঘটনাটি বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের। ওই ছেলের নাম ইউনুস ফকির। বর্তমানে নারী নির্যাতনের মামলায় কারাগারে রয়েছেন তিনি।
সরেজমিনে উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামে গিয়ে ইউনুস ফকিরের প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গ্রামের মৃত কাশেম ফকিরের স্ত্রী রশি বেগমের কোন ভাইবোন না থাকায় একই গ্রামের বাবার বাড়ির সকল সম্পত্তির মালিক হন তিনি। বর্তমানে তাঁর বয়স ৮৫ বছর। একমাত্র ছেলে ইউনুসের সুখের জন্য মা রশি বেগম নিজের বাবার বাড়ির সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা তুলে দেন তার হাতে। সেই টাকা দিয়ে ইউনুস নির্মাণ করেন দ্বিতল পাকা বাড়ি। স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ইউনুস পাকা ভবনে থাকলেও মা রশি বেগমের ঠিকানা হয়েছে বাবার বাড়ির অন্য শরিকের জায়গায় টিনের একচালা ঝুপরি ঘরে।
রশি বেগমের খালু খাজুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা খলিল মিয়া জানান, ছেলের পাকা ভবন থাকলেও মাকে রাখা হয়েছে এই ঝুপড়ি ঘরে। গত ১০ বছর যাবত ইউনুস তার মায়ের কোন খোঁজখবর রাখেন না। এমনকি খাওয়া-পরার কোনো খরচও দিচ্ছেন না। বয়সের কারণে রশি বেগম অসুস্থ হলেও তার কোন খোঁজ খবর নেন না একমাত্র সন্তান ইউনুস। নাতিরাও খোঁজ খবর নেয় না দাদীর।
তিনি জানান, বাড়ির জায়গার বিরোধ নিয়ে গত ৯ জুন রাতে ইউনুস ফকির একই বাড়ির মাহাবুবের পাঁচ মাসের অন্তঃসত্তা স্ত্রী হালিমা বেগমকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। ওই ঘটনায় হালিমার ভাই নাসির মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন নং-৭ (১০.৬.১৯)। ওই মামলায় ইউনুসকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সৌজন্যে- সমকাল