ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই রেকর্ডবুকে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শুধু বিশ্বকাপই নয়, নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৩০ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৩২২ রানের, ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে।
শুধু তাই নয়, নিজেদের ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এর আগের সর্বোচ্চ ৩২৯ রানও টপকে গেলো টাইগাররা। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১৫ সালে ঢাকায় এই স্কোর গড়েছিল বাংলাদেশ। এবার সাকিব, মুশফিক, সৌম্য, মাহমুদউল্লাহ এবং মোসাদ্দেকের বীরত্বে সেই মাইলফলকও পার হয়ে গেলো টাইগাররা।
লন্ডনের দ্য ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচ দিয়ে দলীয় ও ব্যক্তিগত রেকর্ডের বন্যা বইয়ে দিচ্ছে টাইগাররা। প্রথমে সাকিব আল হাসানের ১১ হাজারি ক্লাবের সদস্য হওয়া। এরপর বিশ্বকাপের বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪২ রানের জুটিও গড়েন সাকিব এবং মুশফিকুর রহীম।
সর্বশেষ দুই হাফ সেঞ্চুরি এবং দু-তিনটি মাঝারি মানের ইনিংসের ওপর ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৩০ রান করে বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড সৃষ্টি করে বাংলাদেশ।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে স্বপ্নের মতোই শুরু করে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারের উড়ন্ত সূচনায় বিনা উইকেটে ৬০ রান করে টাইগাররা। তাদের বিদায়ের পর সাকিব-মুশফিকের জোড়া অর্ধশতকে বড় সংগ্রহের দিকে এগোতে থাকে বাংলাদেশ।
২৪২ ও ২৫০ রানে সাকিব-মুশফিক বিদায় নিলে ফিনিশিং এর কাজটা সারেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। দু’জনের ঝড়ো ইনিংসের ফলে ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ৩৩০ রানে করে বাংলাদেশ। যা যে কোন বিশ্বকাপ আসর এবং ওয়ানডে ক্রিকেটে টাইগার দের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর।
এর আগের রেকর্ডটি ছিল ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সে ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৩১৮ রান করে স্কটিশরা। বড় এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে টাইগাররা। তামিমের ৯৫ রানের উপর ভর ৩২২ রান করে ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ।