Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

england-teamবিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা করলো ইংলিশরা। ব্যাটে-বলে দারুণ নৈপুন্য দেখালো স্বাগতিক ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপের আগে থেকে কেন তাদেরকে ফেবারিট বলা হচ্ছে, তারও প্রমাণ দিলো স্বাগতিকরা।

লন্ডনের কেনিংটন ওভালে (দ্য ওভাল) ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩১২ রানের বিশাল লক্ষ্য বেধে দিয়েছিল ইংল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংলিশ বোলার সাঁড়াসি আক্রমণের শিকার প্রোটিয়ারা। শেষ পর্যন্ত তাদেরকে থেমে যেতে হলো ৩৯.৫ ওভারে মাত্র ২০৭ রানের মাথায়।

chardike-ad

ফলে ১০৪ রানের আনায়স জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লো স্বাগতিক ইংলিশরা। ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখালেন অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। ব্যাট হাতে ৮৯ রান করার পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট। ক্যাচও ধরেছেন ২টি। ম্যাচ সেরা বেছে নিতে তাই কষ্ট করতে হয়নি বিচারকদের।

দ্য ওভালের উইকেটে পরে ব্যাট করা সহজ ভেবেই হয়তো টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসি। তার সিদ্ধান্তকে শুরুতেই বাস্তব প্রমাণ করেন ইমরান তাহির। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই জনি বেয়ারেস্টকে তুলে নিয়ে। কিন্তু শুরুর ওই ধাক্কা খুব কমই টলাতে পেরেছে ইংল্যান্ডকে।

এরপরের ব্যাটসম্যানরা খুব বড় স্কোর করতে পারেননি। তবে চারজন করেছেন হাফ সেঞ্চুরি। ওই চার হাফ সেঞ্চুরিতেই ইংল্যান্ডের রান গিয়ে ঠেকেছে ৩১১-তে। ৭৯ বলে ৮৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন বেন স্টোকস। ৫৭ রান করেন ইয়ন মরগ্যান, ৫১ রান করেন জো রুট এবং ৫৪ রান করেন জেসন রয়।

sa-engজবাব দিতে নেমে শুরুতেই ইংল্যান্ডের ক্যরিবীয় পেসার জোফরা আর্চারের তোপের মুখে পড়েন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যারা। এমনকি আর্চারের এক বাউন্সারে তো মাথায় আঘাত নিয়ে মাঠই ছাড়তে হয় প্রোটিয়া ওপেনার হাশিম আমলাকে।

আমলা আউট হননি। তবে তার উঠে যাওয়ার সুযোগ দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের ওপর চেপে বসেন ইংলিশ বোলাররা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিতে থাকেন তারা প্রোটিয়াদের। বিশেষ করে তাদের টপ অর্ডারে আঘাত হানেন জোফরা আর্চার। এইডেন মারক্রাম ১১ রানে, ফ্যাফ ডু প্লেসি ৫ রানে ফিরে যান।

৪৪ রানে দুই উইকেট পড়ার পর ওপেনার কুইন্টন ডি কক আর রাসি ফন ডার ডুসেন মিলে গড়ে তোলেন ৮৫ রানের জুটি। দলীয় ১২৯ রানের মাথায় লিয়াম প্লাঙ্কেটের বলে ফিরে যান প্রোটিয়াদের সর্বোচ্চ সংগ্রাহক কুইন্টন ডি কক। ৭৪ বলে ৬৮ রান করেন তিনি।

এরপর ফন ডার ডুসেন হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করতে পারলেও অন্য ব্যাটসম্যানরা ইংলিশ বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি। আন্দিল পেহলুকাইয়ো করেন ২৪ রান। বেন স্টোকস তার ক্যাচ যেভাবে ধরেছিলেন, তা অবিশ্বাস্য। একেবারে অ্যাক্রোবেটিক স্টাইলে। রাবাদা শেষ দিকে ১১ রান করে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ২০০ পার করেন। শেষ দিকে হাশিম আমলা মাঠে নামলেও কাজ হয়নি। তিনি আউট হন ১৩ রান করে।

ইংল্যান্ডের হয়ে ৭ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন জোফরা আর্চার। লিয়াম প্লাঙ্কেট ৭ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে নেন ২টি এবং বেন স্টোকস ২.৫ ওভার বল করে ১২ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। আদিল রশিদ এবং মঈন আলি নেন ১টি করে উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস: দক্ষিণ আফ্রিকা
ইংল্যান্ড: ৩১১/৮, ৫০ ওভার (স্টোকস ৮৯, মরগ্যান ৫৭, জেসন রয় ৫৪, জো রুট ৫১, বাটলার ১৮, ক্রিস ওকস ১৩; লুঙ্গি এনগিদি ৩/৬৬, ইমরান তাহির ২/৬১, রাবাদা ২/৬৬, পেহলুকাইয়ো ১/৪৪)।

দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০৭/১০, ৩৯.৫ ওভার (কুইন্টন ডি কক ৬৮, ফন ডার ডুসেন ৫০, পেহলুকাইয়ো ২৪, আমলা ১৩; আর্চার ৩/২৭, স্টোকস ২/১২, প্লাঙ্কেট ২/৩৭)।

ফল: ইংল্যান্ড ১০৪ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: বেন স্টোকস।