Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

indiaভক্ত-সমর্থক পর্যায়ে প্রায়ই শোনা যায় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসিতে ক্ষমতার জোর খাটায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড, নিয়ে থাকে অবৈধ সব সুবিধা। আনুষ্ঠানিকভাবে এসব তথ্যের কোনো ভিত্তি না থাকলেও, ভারতের ক্রিকেট দলই মূলত বারবার উসকে দেয় এসব বিতর্ক।

যার সবশেষ উদাহরণ মিলেছে রোববার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের প্রস্তুতি ম্যাচের পর। আইসিসির নিয়মের তোয়াক্কা না করে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যে মিডিয়া সেশন, তাতে অংশ নেননি ভারতের যথাসংখ্যক খেলোয়াড়। দেশটির শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘সংবাদ প্রতিদিন’ প্রচার করেছে এ খবর।

chardike-ad

মূলত কিউইদের বিপক্ষে ম্যাচটিতে ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই স্রেফ উড়ে গিয়েছিল ভারত। আগে ব্যাট করে সেদিন তারা করেছিল মাত্র ১৭৯ রান। যা কিনা ৭৭ বল হাতে রেখেই টপকে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। এমন পরাজয়ের পর মানসিকভাবে ভালো অবস্থায় না থাকাই স্বাভাবিক।

কিন্তু তাই বলে মিডিয়া সেশনই বয়কট করে ফেলা! এবারের বিশ্বকাপে নতুন মাত্রা দিতে প্রতি ম্যাচের পর প্রথাগত সংবাদ সম্মেলনের বাইরেও ‘মিডিয়া সেশন’ নামক আলাদা আড্ডামূলক এক আয়োজনের ব্যবস্থা করেছে আইসিসি।

এর লক্ষ্য মূলত বেশি সংখ্যক ক্রিকেটারদের কথা বলতে দিয়ে খেলাটির বিশ্বায়ন আরও দ্রুত করা। তাই প্রেস কনফারেন্স রুমের মধ্যেই একটা আলাদা সেট তৈরি হয়েছে। যার নাম দেয়া হয়েছে মিক্সড জোন। ম্যাচের দুই দলের তিন-চারজন খেলোয়াড় এখানে এসে কিছুক্ষণ কথা বলার নিয়ম করেছে আইসিসি, যার নাম দেয়া হয়েছে মিডিয়া সেশন।

নিয়ম মোতাবেক ভারতের বিপক্ষে জয়ের পর এসেছিলেন নিউজিল্যান্ডের তিন তারকা রস টেলর, ট্রেন্ট বোল্ট এবং কলিন মুনরো। কিন্তু বারবার অনুরোধ করেও সেখানে আনা যায়নি ভারতের কোনো খেলোয়াড়কে। কেবল প্রথাগত সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন রবিন্দ্র জাদেজা।

অথচ ম্যাচের পর আইসিসির মুখপাত্র সংবাদকর্মীদের মিক্সড জোনে ডেকে এনেছিলেন ভারতের খেলোয়াড়রা আসার খবর দিয়ে। কিন্তু সংবাদকর্মীরা সেখানে গিয়ে দেখেন কেউ নেই। পরে আইসিসি মিডিয়ার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, ভারতের পক্ষ থেকে খেলোয়াড়রা আসতে আপত্তি করছে। যা স্পষ্টত আইসিসির নিয়মের লঙ্গন।

এমন কাণ্ড ঘটানোর পরেও ভারতের বিপক্ষে কোনো ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায়নি আইসিসি। ভারতের কোচ রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওপেন মিডিয়া সেশনের ব্যাপারে তার কোনো ধারণাই নেই। অথচ অন্য সব দলের খেলোয়াড়রা ঠিকই ছিলেন নিজেদের মিডিয়া সেশনে।

ভারতীয়দের এমন কাণ্ডে ডালপালা মেলতে শুরু করেছে নানান গুঞ্জন। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই বিরাট-রোহিতদের এমন আচরণ, আসরের সামনের দিনগুলোতে কোথায় গিয়ে ঠেকে সে বিষয়ে সন্দিহান প্রায় সবাই। তবু সকলে আশাবাদী আজ (মঙ্গলবার) বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের পর এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি করবে না ভারতীয়রা।