ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রুততম ফিফটিতে ব্রায়ান লারা ও কপিল দেবসহ কিংবদন্তি অনেক ক্রিকেটারকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। শুক্রবার মাত্র ২০ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
কপিল দেব সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৯৮৩ সালের ২৯ মার্চ ২১ বলে ফিফটি করে দ্রুততম ফিফটির তালিকায় নাম লেখান। আর ব্রায়ান লারা ২০০৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি কানাডার বিপক্ষে ২৩ বলে ফিফটি করেছিলেন।
দ্রুততম ফিফটিতে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটি করেছেন এবিডি ভিলিয়ার্স। আর বাংলাদেশের সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটির তালিকায় নাম ছিল আশরাফুলের। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ব্যাটিং ঝড়ে মোহাম্মদ আশারাফুল ও আব্দুর রাজ্জাককেও ছাড়িয়ে যান সৈকত।
শুক্রবার দলের জয়ে ২৪ বলে দুটি চার ও পাঁচটি দৃষ্টি নন্দন ছক্কায় অপরাজিত ৫২ রানের ইনিংস খেলেন মোসাদ্দেক। তার ব্যাটিং তাণ্ডবের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বৃষ্টি আইনে ২৪ ওভারে ২১০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে হেসেখেলেই জয় পায় বাংলাদেশ।
২০০৫ সালে নটিংহামে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মোহাম্মদ আশরাফুল ও আবদুর রাজ্জাকের ২১ বলে ফিফটির রেকর্ডটি পেছনে ফেলেছেন মোসাদ্দেক। ওই ম্যাচে আশরাফুল ৯৪ রান করেন। তার সেই ঐতিহাসিক ইনিংসটি ছিল ৩টি ছক্কা ও ১১টি চারে সাজানো। ২০১৩ সালের ৫ মে বুলাওয়েতে বাংলাদেশের আবদুর রাজ্জাক জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ২১ বলে ফিফটি করেছিলেন। তার ইনিংসটি ছিল ৫টি ছক্কা ও ৪টি চারে সাজানো।
ওয়ানডে ক্রিকেটে এবিডি ভিলিয়ার্সের ১৬ বলে অর্ধশত রানটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটি। দক্ষিণ আফ্রিকার এ তারকা ব্যাটসম্যান ২০১৫ সালে জোহান্সবার্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এ রেকর্ড গড়েন। শেষ পর্যন্ত তিনি ১৪৯ রানের ইনিংস উপহার দেন। এতে তিনি ১৬টি ছক্কা ও ৯টি চার হাঁকিয়েছিলেন।
১৭ বলে ফিফটি রয়েছে শ্রীলংকার জয়সুরিয়া, পেরেরা ও নিউজিল্যান্ডের গাপটিলের। ১৮ বলে ফিফটির ইনিংস দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব ৮ বার। এর মধ্যে শহীদ আফ্রিদি একাই তিনবার ১৮ বলে ফিফটি করেন।