২৯৩ রানের বিশাল লক্ষ্য। এই লক্ষ্য পাড়ি দিতে গিয়ে না আবার হোঁচট খায় বাংলাদেশ! কিন্তু পচা শামুকে আর পা কাটলো না টাইগারদের। ২৯৩ রানের এই বিশাল লক্ষ্য হেসেখেলেই পাড়ি দিয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডকে টাইগাররা হারিয়েছে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে। হাতে ছিল পুরো ৭ ওভার (৪২ বল)।
আগের দুই ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় অনায়াসে জয় এসে ধরা দিয়েছে মাশরাফিদের মুঠোয়। তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের দুর্দান্ত ব্যাটিংই ৬ উইকেটের বিশাল জয় উপহার দিয়েছে বাংলাদেশকে।
ডাবলিনের ক্যাসল অ্যাভেনিউতে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচটি নিঃসন্দেহে রান প্রসবিনী। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আয়ারল্যান্ড যেভাবে ব্যাটিং শুরু করেছিল, তাতে মনে হয়েছিল তারাও ৩২০ কিংবা ৩৩০ প্লাস রান করে ফেলবে। শেষ পর্যন্ত আবু জায়েদ রাহীর বিধ্বংসী বোলিংয়ের কারণে সেটা আর তারা পারেনি। থামতে হয়েছে তাদের ২৯২ রানে।
জবাব দিতে নেমে বরাবরের মতোই সাবধানী শুরু দুই ওপেনারের। সৌম্য সরকারকে বিশ্রাম দিয়ে আজ সুযোগ দেয়া হলো লিটন কুমার দাসকে। কিন্তু তিনি বুঝিয়ে দিলেন, তাকেও বসিয়ে রাখার মতো নয়। লিটন চিন্তায় ফেলে দিয়েছেন টিম ম্যানেজমেন্টকে। পরের ম্যাচে (যেহেতু ফাইনাল) ওপেনিংয়ে সৌম্য খেলবেন নাকি লিটন খেলবেন- সে দ্বিধায় থাকতে হবে ম্যানেজমেন্টকে।
তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিংয়ে ১১৭ রানের অসাধারণ একে জুটি গড়ে ফেলে লিটন। ১৭তম ওভারে বয়েড রানকিনের বলে বোল্ড হয়ে যান তামিম। ৫৩ বলে ৫৭ রান করে বিদায় নেন এই ড্যাশিং ওপেনার। তার ইনিংস সাজানো ছিল ৯ বাউন্ডারিতে।
এরপর লিটন আর সাকিব আল হাসান মিলে দলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যান। দলীয় ১৬০ রানের মাথায় লিটন দাস ফিরে যান ৬৭ বলে ৭৬ রান করে। ৯টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মারও মারেন লিটন।
সাকিব আল হাসান ফিফটি করেন। কিন্তু ৫১ বলে ফিফটি করার পরই রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছেড়ে যেতে হয় তাকে। মুশফিকুর রহীম মিডল অর্ডারে বেশ ভালোই সাপোর্ট দেন। ৩৩ বলে ৩৫ রান করেন তিনি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২৯ বলে অপরাজিত থাকেন ৩৫ রানে।
মোহাম্মদ মিঠুনের পরিবর্তে মোসাদ্দেক হোসেনকে খেলানো হলো আজ। কিন্তু ১৭ বলে ১৪ রান করে বলে খোঁচা মারতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। শেষ দিকে মাঠে নেমে ৭ রানে অপরাজিত থাকেন সাব্বির রহমান।
বয়েড রানকিন নেন ৪৮ রানে ২ উইকেট। ১ উইকেট করে নেন ম্যাক-আর্থি এবং মার্ক এডাইর। ৯ ওভারে ৫৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেয়ায় ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হলেন আবু জায়েদ রাহীই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস: আয়ারল্যান্ড (ব্যাটিং)
আয়ারল্যান্ড: ২৯২/৮, ৫০ ওভার (পল স্টার্লিং ১৩০, উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড ৯৪, গ্যারি উইলসন ১২; আবু জায়েদ রাহী ৫/৫৮, সাইফুদ্দিন ২/৪৩, রুবেল ১/৪১)।
বাংলাদেশ: ২৯৪/৪, ৪৩ ওভার (লিটন দাস ৭৬, তামিম ৫৭, সাকিব আল হাসান ৫০, মুশফিকুর রহীম ৩৫, মাহমুদউল্লাহ ৩৫*, মোসাদ্দেক ১৪, সাব্বির ৭*; রানকিন ২/৪৮)।
ফল: বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: আবু জায়েদ রাহী।