ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে বিমানের টিকিটের জন্য হাহাকার চলছে। ভিসা ও হোটেল বুকিংয়ের টাকা পরিশোধসহ সকল প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র বিমান টিকিটের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন হাজার হাজার ওমরা যাত্রী। টিকিট সঙ্কটে চলতি রমজান মাসে কমপক্ষে ২০ হাজার ওমরাহ যাত্রীর সৌদি আরব গমন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
টিকিট সঙ্কটের কারণে ওমরাহ হজ যাত্রী ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যগামী হাজার হাজার অভিবাসীর সৌদি আরবে ফিরে যাওয়ায়ও অনিশ্চয়তার কবলে পড়েছে। চাহিদা বেশি থাকায় সৌদি এয়ারলাইন্স এ রুটে তাদের ফ্লাইটের সংখ্যা একাধিক বৃদ্ধি করেছে।
এদিকে ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে ওমরাহ যাত্রীর বিমানভাড়া আগে ৫০ হাজার টাকা থাকলেও বর্তমানে তা দ্বিগুণ নেয়া হচ্ছে। তবে এতেও মিলছে না টিকিট। চাহিদা বেশি থাকায় ভাড়া দ্বিগুণ করার নেপথ্যে এয়ারলাইন্স নাকি এজেন্সি দায়ী সেটিও কেউ দেখছে না।
হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে কোনো এয়ারলাইন্সের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আগামী ২০ মে একটি অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করবে। যেদিন টিকিট বুকিং শুরু হয়েছে সেদিন ১০ মিনিটের মধ্যে সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।
শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণে দ্রুত সরকারকে হস্তক্ষেপ করতে হবে। ফ্লাইটের টিকিট বিক্রির জন্য নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠির কাছে যেন না দেয়া হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা দরকার।
তিনি আরও বলেন, এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে আপাতত স্বল্পমেয়াদী সমস্যা সমাধান হিসেবে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের যেসব রুটে যাত্রী সংখ্যা কম ও অলাভজনক সে সকল রুটের ফ্লাইটের সংখ্যা কমিয়ে ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা, ঢাকা-রিয়াদ-ঢাকাসহ মধ্যপ্রাচ্যগামী অন্যান্য গন্তব্যে ফ্লাইটের সংখ্যা বৃদ্ধি করা। এতে বিমান লাভবান হবে এবং ওমরাহ যাত্রীসহ সকল মধ্যপ্রাচ্যগামী অভিবাসীরা উপকৃত হবে।
দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা সমাধানে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোকে বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ওপেন স্কাই করা বা তাদেরকে উৎসাহ প্রদানের জন্য হ্যান্ডেলিং, ল্যান্ডিং ও পার্কিংসহ অন্যান্য চার্জসমূহ কমানো ও মওকুফ করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।