রমজানের মাস সবে শুরু হয়েছে। গোটা বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ রমজান মাস পালন করতে ব্যস্ত। কিন্তু একমাত্র চিনে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের উপর রোজা রাখা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো। কমিউনিস্ট চিন সরকার এহেন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। শুধু তাই নয়, মুসলিম সমাজের রোজা রাখা নিয়েও একাধিক বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। কমিউনিস্ট সরকারের এহেন সিদ্ধান্তে অখুশি গোটা মুসলিম সমাজ।
তবে এমন সিদ্ধান্ত নতুন কিছু নয়। গত বছর একইভাবে সে দেশের মুসলিমদের রোজা রাখা নিয়ে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এবার রমজান মাস শুরু হতেই কমিউনিস্ট সরকারের নজরে সে দেশের সংখ্যালঘু মুসলিমসমাজ। জানা গিয়েছে, মূলত চিনের কমিউনিস্ট সরকার উপোস বা অন্যান্য ধর্মীয় রীতি প্রতি বিশেষ টান-কে চরম পন্থার প্রতীক হিসেবে দেখে। শুধু তাই নয়, চিনা কমিউনিস্ট সরকার মনে করে, সংগঠিত ধর্মীয় আচরণ পার্টির পক্ষে আশঙ্কার।
তাই নজরদারি ব্যবস্থাকে আরও তীব্র করেছে চিন সরকার। এমনকি, মুসলিম সমাজ যাতে তাঁদের ধর্মীয় আচার-আচরণ পালন করতে না পারে সেজন্যে তাঁদের বাড়িতে সরকারি আধিকারিকদের থাকার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিনের জিনজিয়াং অঞ্চল। এখানে মূলত চিনের মুসলিম উইঘুর সম্প্রদায়ের লোকেরা বসবাস করে৷ গত কয়েক বছর ধরে চিনের কমিউনিস্ট সরকার এই অঞ্চলে রোজা রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে৷ চিনের সরকারি ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, রমজান মাসে হোটেল, রেস্তোরাঁসহ যাবতীয় খাবারের দোকান খোলা রাখতে হবে৷ রমজান মাসেও ওই নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকবে বলে জানা গিয়েছে। তাই, এ বছরও রোজা রাখতে পারবেন না মুসলিমরা৷
চিনের কমিউনিস্ট সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সরকারি চাকুরিজীবী, স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা রোজা রাখতে পারবেন না৷ মুসলিম মালিকদের খাবার হোটেল খোলা রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে৷ এই বিষয়ে উইঘুরের মানবাধিকার সংগঠনগুলির আশঙ্কা, ওই নিষেধাজ্ঞার ফলে আগামীদিনে চিনের মাটিতে জাতিগত উত্তেজনা বাড়বে৷