Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

shylet-murderসিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় পরকীয়া প্রেমের কারণে সৌদি প্রবাসী স্বামীকে নির্মমভাবে হত্যা করে বাথরুমের ট্যাংকের ভেতরে মরদেহ ফেলে দিয়েছেন স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিক।

মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনায় স্ত্রীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে স্ত্রীর স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডের চারদিনের মাথায় বুধবার সকাল ৮টায় গোরকপুর গ্রামের আব্দুল হাফিজের ছেলে সৌদি প্রবাসী মাসুক আহমদের বাড়ির বাথরুমের ট্যাংক থেকে ফারুক আহমদের (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

chardike-ad

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ২ নম্বর লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের বাউরভাগ ৩য় খণ্ড (নুরপুর) গ্রামের মৃত মাহমুদ আলীর ছেলে সৌদি প্রবাসী ফারুক আহমদ রোববার সকাল থেকে নিখোঁজ থাকায় তার চাচা সমছুল হক মঙ্গলবার কানাইঘাট থানায় জিডি করেন। এতে ঘটনা তদন্ত করে স্থানীয়দের সহযোগিতায় নিহতের স্ত্রী গোরকপুর গ্রামের মৃত মসাহিদ আলীর মেয়ে তিন সন্তানের জননী হোসনা বেগমকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করে কানাইঘাট থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

গ্রেফতারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বামীকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন হোসনা বেগম। পরে তার দেখানো মতে বুধবার ভোরে ফারুক আহমদের মরদেহ খুঁজে পায় পুলিশ। বুধবার সকাল ৮টায় ফারুক আহমদের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের নছির আলী আক্কার ছেলে মোস্তফা আহমদের সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল ফারুক আহমদের স্ত্রী হোসনা বেগমের। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার সালিশ হলেও তাদের পরকীয়ার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন না হওয়ায় গত দুই মাস আগে ফারুক আহমদ সৌদি আরব থেকে বাড়ি চলে আসেন। পরে মোস্তফা আহমদের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক নিয়ে হোসনা বেগম ও ফারুক আহমদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ বেড়েই চলছিল। এরই মধ্যে রোববার থেকে রহস্যজনকভাবে ফারুক আহমদ নিখোঁজ হন।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, পরকীয়ার কারণে স্ত্রী হোসনা বেগমের সহযোগিতায় রাতের খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ সেবন করিয়ে ফারুককে অজ্ঞান করা হয়। পরে প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামী ফারুককে জবাই করে হত্যার পর মরদেহ গুমের জন্য গোরকপুর গ্রামের আরেক সৌদি প্রবাসী মাসুক আহমদের বাড়ির ট্যাংকের ভেতরে ফেলে রাখা হয়।

কানাইঘাট থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবু কাওছার বলেন, ফারুক আহমদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি তার স্ত্রী হোসনা বেগমের সঙ্গে একই গ্রামের মোস্তফা আহমদের পরকীয়া প্রেমঘটিত কারণে হয়েছে।

তিনি বলেন, মোস্তফা আহমদের সঙ্গে হোসনা বেগমের স্বামী ফারুক আহমদের ইতোমধ্যে কয়েকবার এ নিয়ে ঝগড়া বিবাদ হয়েছে। যার কারণে হোসনা বেগমের সহযোগিতায় মোস্তফা আহমদ ও তার সহযোগীরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় ফারুক আহমদের স্ত্রী হোসনা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।