Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

faniঘূর্ণিঝড় ফণী শনিবার সকালে দেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশ থেকে এক হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এটি। আবওহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক ছামছুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী যেভাবে এগিয়ে আসছে, তা অব্যাহত থাকলে শুক্রবার আঘাত হানবে ভারতে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গে। তারপর উপকূল ঘেঁষে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে চলে যাবে। সেক্ষেত্রে ঝড়টি শনিবার খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

এদিকে আবওহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যের ভিত্তিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণী শনিবার সকাল নাগাদ বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তবে এই ঘূর্ণিঝড়কে মোকাবিলা করার জন্য সব রকম প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, ১৯টি উপকূলীয় জেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট, আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন (এএফডি), ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে।

chardike-ad

faniমন্ত্রণালয়ের বিশেষ রেডিওর পক্ষ থেকে বার্তা যাচ্ছে। সেখান থেকে সাবধান হওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, আমাদের ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তাদের ফণী আসার বার্তা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, এখন ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় মন্ত্রণালয়ে আবার সভা আছে। যদি ফণী এগোনোর গতিবেগ এমন থাকে তবে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত পাল্টে ৫, ৬ বা ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেওয়া হবে। এটা দেওয়া হলে স্বেচ্ছাসেবীরা উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় থাকা মানুষদের তাদের প্রাণিসম্পদসহ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসবে।