esi-globalসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কানাডা পাঠানোর বিজ্ঞাপন দেখে ইএসআই গ্লোবাল এডুকেশন ESI Global Education নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন মোতালেব খান। দুই বছরের ভিসার কথা বলে স্ট্যাম্পে চুক্তিও হয়। প্রতিষ্ঠানটি ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকার মধ্যে অগ্রিম নেয় ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। একইভাবে ভাগ্নের কাছ থেকে নেয় ১৬ হাজার টাকা। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে কিছুদিন যোগাযোগ থাকলেও পরে লাপাত্তা হয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটি।

যোগাযোগ করেও প্রতিষ্ঠানটির কাউকে না পেয়ে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ নয়াহাট চির্কা গ্রামের মোতালেব। গত ১৫ এপ্রিল রাজধানীর গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নম্বর) করেন তিনি। জিডি নম্বর- ১০৯৭। কিন্তু অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ব্যবসা গুটিয়ে খোদ গুলশান থানার সামনে অফিস খুলে বসলেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না ভুক্তভোগী।

chardike-ad

প্রতারণার শিকার মোতালেব খান বলেন, ফেসবুকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কানাডা পাঠানোর বিজ্ঞাপন দেখে বসুন্ধরার বি ব্লকের ১ নং সড়কের ২৭৬ নং প্লটের ইএসআই গ্লোবাল এডুকেশন নামে ওই প্রতিষ্ঠানটির অফিসে যাই। প্রতিষ্ঠানটির এমডি ইমতিয়াজ শুভর (ওরফে ইমতিয়াজুল কাদের) সঙ্গে ৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা খরচ সাপেক্ষে সপরিবারে দুই বছরের ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কানাডা পাঠানোর নাম করে দুই দফায় লিখিত চুক্তি করি।

তিনি আরও বলেন, চুক্তি অনুযায়ী আমার কাছ থেকে অগ্রিম ২ লাখ ২০ হাজার টাকা নেন তিনি। এছাড়া আমার ভাগ্নে জাকির হোসেনের কাছ থেকেও গত বছরের ৩ অক্টোবর এক কর্মচারীর (রনি) মাধ্যমে ১৬ হাজার টাকা নেন। কিছুদিন পর আমি বসুন্ধরায় গিয়ে দেখি ওই অফিস তালাবদ্ধ। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি যে, তারা অফিস বন্ধ করে দিয়েছে।

“ইএসআই গ্লোবাল এডুকেশনের এমডির মুঠোফোনে (০১৭০৩-৫২০৫২৮) কল দিলে ‘আলভি’ পরিচয় দিয়ে একজন ফোন রিসিভ করেন। তিনি নিজেকে ইমতিয়াজ শুভ’র আপন ভাই বলে পরিচয় দিয়ে জানান, সমস্যার কারণে বসুন্ধরার অফিস বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া ইমতিয়াজ শুভ ভারত গেছেন। এখন থেকে ইএসআই গ্লোবাল এডুকেশন তিনি (আলভি) দেখাশোনা করবেন “

মোতালেব বলেন, কয়েক দিন পরই আবার ফোন দিলে ইমতিয়াজ শুভ বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ হয়ে যাবে। এরপর থেকে ওই ফোনটি বন্ধ।

ভুক্তভোগী এ ব্যক্তি বলেন, সম্প্রতি তাদের এক কর্মচারীর মাধ্যমে জানতে পারি, গুলশান সার্কেল- ১ এ SERVICE CANADA নামে অফিস খুলে নিরীহ জনগণকে কানাডা পাঠানোর নামে নতুন করে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। তাদের ফেসবুক পেজ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী তাদের নতুন অফিসের ঠিকানা লেভেল #০৫, বাড়ি নম্বর #২১, রোড নম্বর #১২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।

তিনি বলেন, আমি গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি করে সব জানিয়েছি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে এখন পর্যন্ত প্রতারকদের কাউকে আটক কিংবা টাকা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

গুলশান থানায় দায়েরকৃত জিডিটি তদন্ত করছেন গুলশান থানার এসআই মশিউর রহমান। তিনি জানান, পারিবারিক কারণে আমি ব্যস্ত ছিলাম। এই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সৌজন্যে- জাগো নিউজ