Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

malaysia-workerবাংলাদেশি শ্রমিকদের আর ভিসার কর দিতে (লেভি) হবে না। নিয়োগকৃত কর্মীদের নিয়োগকর্তাকেই কর পরিশোধ করতে হবে। মজুরি থেকে আর কর দিতে হবে না। এই সুবিধা বাংলাদেশি শ্রমিকদের পাশাপাশি সকল বিদেশী শ্রমিকরাও পাবেন। দেশটির মানব সম্পদ মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এখন থেকে নতুন বছরের শুরুতে নিয়োগকর্তারাই বিদেশি শ্রমিকদের কর প্রদান করবে।

‘এই নীতিমালার মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় নিয়োগকারীরা নতুন বিদেশি কর্মীদের জন্য এবং তাদের অস্থায়ী ওয়ার্ক পারমিট বহির্ভূত কর্মীদের জন্য শুল্ক ফি বহন করতে হবে’। ‘নিয়োগকর্তা আধিকারিক’ নামক দলিলের অংশ হবে যা বিদেশি শ্রমিকদের নিয়োগের আগে নিয়োগকর্তাদের স্বাক্ষর করতে হবে। ‘বিদেশি কর্মী লবি সম্পর্কে আইনের শাসন অনুসরণ করতে ব্যর্থ যারা নিয়োগকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে মন্ত্রণালয় সাফ জানিয়ে দিয়েছে।

chardike-ad

মন্ত্রণালয় জানায়, উৎপাদন, নির্মাণ ও সেবা খাতের জন্য পেনিন্সুলার মালয়েশিয়ায় ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক বিদেশি শ্রমিকদের জন্য লেভি হার নির্ধারিত হয় ১ হাজার ৮৫০ রিঙ্গিত হারে এবং কৃষি ও কৃষি খাতে ৬৪০ রিঙ্গিত। একটি পরিবারের প্রথম বিদেশি দাসীর জন্য লেভেলে ৪১০ রিঙ্গিত, দ্বিতীয় ৫৯০ রিঙ্গিত, তৃতীয় এবং চতুর্থ এবং পরবর্তী ৫৯০ রিঙ্গিত নির্ধারিত হয়। মন্ত্রণালয় বলছে, এই নীতি মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিক ব্যবস্থাপনার উন্নতির উদ্যোগ।

অন্যান্য উদ্যোগের মধ্যে ২০২০ সালের মধ্যে দেশটির মোট কর্মসংস্থানমূলক হারের জন্য বৈদেশিক কর্মীদের কর্মসংস্থানের ১৫ শতাংশ সীমিত করা এবং বিদেশি কর্মীদের লিজি সিস্টেমের উন্নতির মাধ্যমে কম দক্ষ বিদেশি কর্মীদের প্রবেশের নিয়ন্ত্রণ অন্তর্ভুক্ত।

জনশক্তি রফতানির অন্যতম বাজার মালয়েশিয়া ২০০৯ সালে কর্মী নেয়া বন্ধ করে দেয়। ২০১২ সালের ২৬ নভেম্বর সরকারিভাবে কর্মী পাঠাতে দুই দেশ চুক্তি করে। এরপর মালয়েশিয়া পাঁচ বছরে পাঁচ লাখ কর্মী নেয়ার আশ্বাস দিলেও আড়াই বছরে আট হাজার কর্মী যায়। তবে সাগরপথে অবৈধভাবে বিপুলসংখ্যক কর্মী মালয়েশিয়া যায়। ২০১৫ সালের মে মাসে থাইল্যান্ডে এবং পরে মালয়েশিয়ায় গণকবর পাওয়ার পর বিশ্বজুড়ে হইচই পরে আবারও বাংলাদেশ থেকে বেসরকারিভাবে কর্মী নেয়ার প্রস্তাব দেয় মালয়েশিয়া।