পাবলিক প্লেসসহ বিভিন্ন স্থানে নামাজ পড়ার ছবি (স্থিরচিত্র) তুলে আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন এক তরুণী। আমেরিকার মুসলিম তরুণী সানা উল্লাহ নামাজের ছবি তুলেই দেশটির ‘গোল্ডজিহার’ (Goldziher Prize) অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন। এ ছবিগুলো হাফিংটন পোস্ট, ফিউশন, কোয়ার্টজসহ অনেক সাইটে প্রকাশিত হয়।
আমেরিকায় ইয়াহুদি-খ্রিস্টান ও মুসলিমদের মধ্যে সাধারণত নৈতিকতা, বুদ্ধিমত্তা, শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার অবদানস্বরূপ এ অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। সানা উল্লাহ ২০১৭ সালে ফটো সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। আর ২০১৯ সালে তার তোলা `Places You’ll Pray’ শিরোনামে নামাজ পড়ার ছবিগুলো এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়।
মুসলিম তরুণী সানা উল্লাহ ২০১৫ সাল থেকে আমেরিকারে বিভিন্ন স্থানে মানুষের নামাজ পড়ার ছবি তুলেছেন। সিরিজে প্রার্থনার এসব ছবিই তাকে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে। ছবির মাধ্যমে আমেরিকার মুসলমানদের শান্তিপূর্ণ নামাজের ছবি কভারেজ দেয়ার কারণেই তাকে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
২০১৯ সালে সম্প্রীতির এ অ্যাওয়ার্ডের জন্য ৬ জন মনোনীত হয়। মুসলিম তরুণী সানা উল্লাহ তার এ অসামান্য কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার ইউএস ডলার পাবেন।
অ্যাওয়ার্ড লাভকারী ৬ ব্যক্তি হলেন, তরুণী সানা উল্লাহ, লায়লা ফাদেল, হান্নাহ আল্লাম, আয়মান ইসমাইল, জায়নাব সুলতান এবং সি চেন। এ ৬ জনের মধ্যে ৫ জনই নারী।
ইসলাম ও মুসলমানদের নিয়ে বিতর্কের সময়টিতে আমেরিকায় নামাজের ছবি উপস্থাপনের মাধ্যমে এ অ্যাওয়ার্ড লাভ ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য এক বড় বিজয়।
খ্রিস্টান এবং ইয়াহুদি ধর্মের পরে ইসলাম ধর্ম আমেরিকার তৃতীয় বৃহত্তম ধর্ম। ২০১৭ সালের এক গবেষণায় দেখা যায় যে, আমেরিকার মোট জনসংখ্যা ১.১ ভাগ মুসলিম।
মুসলমানরা প্রতিদিন ৫টি নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করে। সকালে সূর্য ওঠার আগে ফজর দিয়ে নামাজ শুরু হয় আর সন্ধ্যার পর এশার নামাজ আদায়ের মাধ্যমে তা শেষ হয়।
মুসলিম তরুণী সানা উল্লাহর প্রকাশিত এ ছবিগুলো প্রমাণ করে যে, আমেরিকায় মুসলিমরা নির্ভয়ে যে কোনো স্থানেই নামাজ আদায় করতে সক্ষম। নিঃসন্দেহে এটি শান্তি ও সম্প্রীতির নিদর্শন।
উল্লেখ্য যে, ২০১৫ সালে তাদের একটি ড্রেসিং রুমে তার বোন প্রার্থনা বন্ধ করে দেন। সেখান থেকেই তরুণী সানা উল্লাহ বিভিন্ন স্থানে নামাজ আদায়ের ছবি তুলতে শুরু করেন। যা তাকে আন্তর্জাতিক পুরস্কার এনে দেয়। আগামী ২ মে ২০১৯ আকেরিকার ওয়াশিংটন ডিসি’র জাতীয় প্রেসক্লাবে পুরস্কার প্রদান করা হবে।