বগুড়ার ধুনট উপজেলায় স্ত্রীর নির্যাতন সইতে না পেরে আবু সাইদ নামে এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠছে। এ ঘটনায় মাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন নিহতের ছেলে। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ধুনট থানার ওসিকে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন। সোমবার সকালে ধুনট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মহিশুরা গ্রামের দিনমজুর আবু সাইদ প্রায় ২৫ বছর আগে প্রতিবেশী গোলেনুর খাতুনকে বিয়ে করেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে চার সন্তানের জন্ম হয়। গোলেনুর খাতুন প্রায় এক বছর আগে পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এ বিষয়টি আবু সাইদ টের পেয়ে স্ত্রীকে বিপথ থেকে ফেরানোর চেষ্টা করেন। এতে স্বামীর প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন স্ত্রী।
এ নিয়ে গত ২৯ মার্চ রাত ৩টায় নিজেদের শয়ন কক্ষে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। তখন গোলেনুর খাতুন তার ভাই, ভাবি ও বোনের সহযোগিতায় আবু সাইদকে মারধর করতে থাকেন। তারা সাইদকে মরে যেতে বলেন। এ ঘটনার পর ক্ষোভে-দুঃখে আবু সাইদ কীটনাশক পান করেন। বিষয়টি টের পেয়ে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থল থেকে আবু সাইদকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবু সাইদ মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত আবু সাইদের ছেলে নুরনবী ইসলাম বাদী হয়ে গত ৮ এপ্রিল বগুড়া আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত থেকে ২২ এপ্রিল সোমবার অভিযোটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করতে ধুনট থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়। মামলায় গোলেনুর খাতুন, তার ভাই নজরুল ইসলাম ও ভাবি মালেকা খাতুনসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়।
ধুনট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে আদালতে দায়ের করা মামলার নথি হাতে পেয়েছি। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে আরজিটি থানায় মামলা হিসেবে রেকর্ড করে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে আসামিরা।
সৌজন্যে- জাগো নিউজ