দক্ষিণ কোরিয়ায় গর্ভপাতের ওপর নিষেধাজ্ঞাকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছে আদালত। আদেশে দেশটির সাংবিধানিক আদালত বলেছে, ২০২০ সালের মধ্যেই আইন সংশোধন করতে হবে। এই রায়কে দেশটির আদালতের একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
বিবিসির খবরে জানানো হয়, ১৯৫৩ সালের আইন অনুযায়ী গর্ভপাত করলে নারীদের জরিমানা ও কারাবন্দি করা যাবে। তবে ওই আইনে ধর্ষণের শিকার ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা নারীদের গর্ভপাতের সুযোগ আছে। বিদ্যমান আইনে গর্ভপাত করানো চিকিৎসকরাও কারাদণ্ড ভোগ করতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়া উন্নত কয়েকটি দেশের একটি যেখানে গর্ভপাতকে অপরাধ গণ্য করা হয়। দেশটিতে গত বুধবার এক জনমত জরিপে দেখা যায়, ৫৮ শতাংশ লোক গর্ভপাতে নিষেধাজ্ঞা বিলোপের পক্ষে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ৭০টি গর্ভপাত করা এক নারী চিকিৎসক আইন সংশোধন চেয়ে আবেদন করেছিলেন। এ চিকিৎসক গর্ভপাতের জন্য বিচারের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি বিবেচনায় নেয় আদালত। ওই চিকিৎসকের ভাষ্য, গর্ভপাতে নিষেধাজ্ঞা নারীদের জীবন বিপন্ন ও তাদের অধিকার সংকুচিত করে।
দেশটিতে নারী অধিকার নিয়ে বর্ধিষ্ণু আন্দোলনের ফল আদালতের এ আদেশ। নারীর ইচ্ছার পক্ষে থাকা প্রচারকারীদের ভাষ্য, নারীদের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের কারণে গর্ভপাতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় বিপুলসংখ্যক ধর্মপরায়ণ খ্রিস্টান রয়েছে। তাদের অনেকে গর্ভপাত অবৈধ রাখার পক্ষে।