ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক শহর চীনের গুয়ানজুতে ফ্লাইট পরিচালনা করবে দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ারলাইন্স বিমান বাংলাদেশ। আসন্ন জুন থেকে এ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। ইতোমধ্যে স্লট বরাদ্দ পেয়েছে এবং সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব চায়নার (সিএএসি) দেয়া শর্ত পূরণে কাজ চলছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এ এম মোসাদ্দিক আহমেদ এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ঢাকা-গুয়ানজু রুটে সপ্তাহে চারটি ফ্লাইট পরিচালনার চিন্তাভাবনা করছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। বিমানের অত্যাধুনিক ও সুপরিসর উড়োজাহাজ দিয়ে ঢাকা-গুয়ানজু রুটে বিমান পরিচালনা করা হবে এবং রুটটি হবে যাত্রীদের নিরাপদ ও আস্থার প্রতীক।
জানা গেছে, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকা-গুয়ানজু রুট চালুর ঘোষণা দিলেও উড়োজাহাজ সঙ্কটে সে সময় সম্ভাবনার এ রুটটি চালু করতে পারেনি তারা। বিমানের ব্যর্থতার সুযোগ কাজে লাগায় শীর্ষ বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলা। গত বছরের ২৬ এপ্রিল ঢাকা-গুয়ানজু রুটে ফ্লাইট চালু করে ইউএস-বাংলা। বর্তমানে এই রুটে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে তারা।
বাংলাদেশের অবকাঠামোগত সব সূচক বিবেচনা করে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব চায়না (সিএএসি) ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সকে চীনের গুয়াংজু রুটে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেয়। বর্তমানে বাংলাদেশ বিমানের বহরে ১৩টি উড়োজাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর ও দুটি বোয়িং ৭৮৭ ‘ড্রিমলাইনার’ উড়োজাহাজ লম্বা দূরত্ব পাড়ি দিতে সক্ষম।
এছাড়া চারটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ রয়েছে। যেগুলো মূলত আঞ্চলিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনার উপযোগী। অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ইউএস-বাংলার তিনটি ড্যাস-৮কিউ৪০০ উড়োজাহাজ রয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশ বিমানের আন্তর্জাতিক রুট কেবল মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়ই সীমাবদ্ধ। মধ্যপ্রাচ্যে কুয়েত, দাম্মাম, দোহা, রিয়াদ, জেদ্দা, আবুধাবি, দুবাই ও মাস্কাটে বিমান বাংলাদেশ ফ্লাইট পরিচালনা করছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ব্যাংকক, কুয়ালালামপুর ও সিঙ্গাপুরে ফ্লাইট চালাচ্ছে বিমান।
এছাড়া স্বল্প দূরত্বে কলকাতা, ইয়াঙ্গুন ও কাঠমান্ডুতে ফ্লাইট রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থাটির। ইউরোপে কেবল লন্ডন রুটেই ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান। তবে সহসা আরও দু-তিনটি লম্বা দূরত্বের রুট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বিমানের। লিজ নিতে যাওয়া দুটি ৭৭৭-৩০০ উড়োজাহাজ বহরে যুক্ত হলে কেবল একটি রুটের জন্যই বিমান বহরে থাকবে লম্বা দূরত্ব পাড়ি দিতে সক্ষম ৮টি সুপরিসর উড়োজাহাজ।
সৌজন্যে- জাগো নিউজ