Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

trump-kimগত বছরের জুনের সেই ঐতিহাসিক বৈঠকের পর দ্বিতীয়বারের মতো মুখোমুখি হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রনেতা কিম জং উন। কিন্তু প্রত্যাশার বিপরীতে আপাতত ব্যর্থ হলো উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চুক্তি হওয়ার পরিকল্পনা।

যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে বিগত কয়েক মাস ধরে চলছিল ‘ডিনিউক্লিয়ারাইজেশন’ বা পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে আলোচনা। বৃহস্পতিবার ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে অনুষ্ঠিত দুই নেতার এই বৈঠকে তাই চোখ ছিল বিশ্বের সব সংবাদমাধ্যমের।

chardike-ad

সম্প্রতি দুই দেশের পক্ষ থেকেই জানানো হয় যে, তারা উভয়ই এবারের বৈঠকে এ বিষয়ে ইতিবাচক ফলাফল আশা করছেন। ভিয়েতনামের এই বৈঠক শেষে ট্রাম্প ও কিমের একটি যৌথ বিবৃতিও দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প একাই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন, কারণ বৈঠকের ফল আশানুরূপ হয়নি।

হ্যানয়ে দুই দিনব্যাপী বৈঠকের শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার পক্ষে যে সব দাবি করেন তার সবটাই মানা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব হয়নি। সব রকম নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়ার যে দাবি কিম করেন, তা মানতে নারাজ ছিলেন ট্রাম্প।

উত্তর কোরিয়ার বেশ কিছু স্থান থেকে পারমাণবিক অস্ত্র সরিয়ে নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রনেতা কিম জং উন এই প্রস্তাব মেনে নিলেও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তাদের দাবিগুলি ট্রাম্প মেনে নেননি। ফলে, ব্যর্থ হয় এই আলোচনা।

পারমাণবিক শক্তি ছাড়াও আলোচনায় উঠে আসে উত্তর কোরিয়ার মাটিতে এক মার্কিন ছাত্র নিগ্রহের ঘটনা। আলোচনা হয় দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক নিয়েও। বৈঠক থেকে দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের আশ্বাস আসবে, এমনটাই আশা করছিলেন অনেকে।

সূত্র: ডিডব্লিউ