কয়েকদিন পরই স্বামীর সঙ্গে আমেরিকা যাওয়ার কথা ছিল তার। এজন্য ভিসা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করে রেখেছিলেন। অপেক্ষায় ছিলেন ফ্লাইটের, কিন্তু ফ্লাইটের তারিখ পড়ার আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় না ফেরার দেশে চলে যান বৈশাখী পাল।
বুধবার কুমিল্লার ময়নামতির হরিণধরা এলাকায় লেগুনা ও যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বৈশাখী পাল (৩০) নিহত হন। এ সময় তার কোলে থাকা শিশু সন্তানটি অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। দুর্ঘটনার সময় ১৪ মাস বয়সী ছেলে সন্তান প্রেরণা চন্দ্র পালকে কোল থেকে ফেলেননি মা বৈশাখী পাল। পরে দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে আহতরা সবাই সুস্থ আছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বুড়িচংয় উপজেলার ময়নামতি হরিণধরা এলাকায় লেগুনার সঙ্গে যাত্রীবাহী বাস সুগন্ধার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই লেগুনার যাত্রী বৈশাখী পাল নিহত হন।
নিহত বৈশাখী পাল বুড়িচং উপজেলার রামপুর গ্রামের মানিক চন্দ্র পালের স্ত্রী এবং ইলিয়টগঞ্জ এলাকার আমেরিকা প্রবাসী মানিক পালের স্ত্রী।
মানিক পালের স্বজনরা জানান, কয়েকদিন পরই স্বামীর সঙ্গে আমেরিকা যাওয়ার কথা ছিল বৈশাখী পালের। এজন্য ভিসা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করে রেখেছেন। এরই মধ্যে বুধবার হঠাৎ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান বৈশাখী পাল। অকালেই দুর্ঘটনায় স্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন আমেরিকা প্রবাসী মানিক পাল। তিনি দেশে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান মানিক পালের এক নিকট আত্মীয়।
ময়নামতি হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, বুধবার কুমিল্লার মুরাদনগর থেকে কোম্পানীগঞ্জগামী সুগন্ধা পরিবহনের নামে একটি বাসের সঙ্গে লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। এ সময় লেগুনার যাত্রী বৈশাখী পাল নিহত হন। কিন্তু ওই সময় মায়ের কোলে থাকা শিশু সন্তানটি অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়। পরে শিশুকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। শুনেছি প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে নিহতের আমেরিকা যাওয়ার কথা ছিল।
সৌজন্যে- জাগো নিউজ