প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের সপ্তাহ না পেরুতেই বিমানবন্দর কার্গো এলাকায় আবর্জনা দেখে ক্ষেপেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। তিনি জানতে চান কার্গো কমপ্লেক্স ও কার্গো ভিলেজ এলাকায় আবর্জনা আর ধুলাবালির স্তূপ জমার কারণ। প্রতিমন্ত্রীর ক্ষোভের সময় সঙ্গে থাকা সিভিল অ্যাভিয়েশন ও বিমান কর্মকর্তারা কোনো শব্দ না করলেও পরে এক অপরকে দোষারোপ করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিমানের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের ওপর ক্ষেপে কী লাভ! কার্গো স্থাপনার মালিক আমরা নই, আমরা হচ্ছি ভাড়াটিয়া, প্রকৃত মালিক হচ্ছে সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি। তবে কার্গো কমপ্লেক্স ও কার্গো ভিলেজ এলাকায় সামান্য ধুলাবালি থাকলেও তা উইন্টারের (শীত) কারণে। এই মৌসুমে প্রচুর ধুলাবালি হয়। আমাদের স্টাফরা প্রতিদিনই ভেতরের ধুলাবালি পরিষ্কার করেন।’
প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর মঙ্গলবার দুপুরে প্রথমবারের মতো হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শনে যান মাহবুব আলী। তিনি বলেন, ‘প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের অ্যাভিয়েশন হাব হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ করতে যাচ্ছে। পাশাপাশি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল, কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীতকরণ এবং সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়নে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে।’ যাত্রীসেবার মান বাড়িয়ে যাত্রীদের সন্তুষ্টি অর্জনে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
রাজধানীর কুর্মিটোলায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সদর দফতরে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। এ সময় বিমান ও পর্যটন সচিব মো. মহিবুল হক, সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাইম হাসানসহ মন্ত্রণালয় ও সিভিল অ্যাভিয়েশনের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন ক্যাবের মেম্বার (অপারেশন) এয়ার কমোডর মোস্তাফিজুর রহমান। পরে প্রতিমন্ত্রী হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের বিভিন্ন স্থাপনা ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
সৌজন্যে- জাগো নিউজ