Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

dhaka-shakib-rubelবাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শনিবারের (৫ জানুয়ারি) প্রথম ম্যাচের রান খড়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে বড় স্কোর ক্রিকেট প্রেমীদের কিছুটা হলেও সান্ত্বনা দিতে পেরেছে। ঢাকা ডায়নামাইটসের বড় রানের বিপক্ষে ৮৩ রানের বড় ব্যবধানে হারে রাজশাহী।

টসে হেরে ব্যাটিং পেয়ে ঢাকা ডায়নামাইটসের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে খুব একটা খুশি মনে হয়নি। টসের পরে রাজশাহী কিংসের তরুন অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ যখন তার সিদ্ধান্ত জানাচ্ছেন, পাশেই কিছুটা চিন্তিত মুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন সাকিব। কিন্তু ঢাকার দুই ওপেনার সুনীল নারাইন ও প্রথমবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলতে আসা হজরাতুল্লাহ জাজাই ছুটালেন চার-ছক্কার ফুলঝুরি। দল করে ফেললো ১৮৯ রান।

chardike-ad

মিরপুর শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেটে পরের ব্যাট করা দলের জন্য ১৯০ রানের বেশ কঠিনই বল যায়। রাজশাহী কিংসকে সেই কঠিন কাজটি করতেই মাঠে নামত হলো। ব্যাটিংয়ে নেমে ধীরস্থির ভাবেই এগিয়েছে রাজশাহীর দুই ওপেনার মুমিনুল হক ও মোহাম্মদ হাফিজ। কিন্তু সেই ভালো শুরুতে প্রথম আঘাত হানলেন ঢাকার অধিনায়ক সাকিব।

মুমিনুলকে ফিরিয়ে ২৪ রানের জুটি ভাঙ্গেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার। ৫ বলে ৮ রান করে মিজানুর রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মুমিনুল। সৌম্য সরকারও ফেরেন অল্প রানেই। আন্দ্রে রাসেলের বলে উইকেটের পেছনে কাজী নুরুল হাসান সোহানের দুর্দান্ত এক ক্যাচে মাত্র ৩ বলে ৪ রান করে ফেরেন সৌম্য।

ওপেনার হাফিজের সঙ্গে মিলে লোওরি ইভান্স কিছুটা সময় চেষ্টা করলেও বেশিদূর এগোতে পারেননি। ১৩ বলে ১০ রান করে সাকিবের হাতে রান আউট হয়ে ফেরেন। ২ রান করে রুবেল হোসেনের বলে ফেরেন জাকির হাসান।

এক প্রান্ত আগলে থেকে অনেকটা সময় রাজশাহীকে এগিয়ে নেন হাফিজ। তবে শেষ পর্যন্ত রুবেলের কাছে পরাস্থ হতে হলো তাকে। ২৮ বলে ২৯ রান করে উইকেটের পেছনে সোহানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই পাকিস্তানি অলরাউন্ডার।

হাফিজের বিদায়ের পর আর কেউই বেশি সময় উইকেটে থিতু হতে পারেননি রাজশাহীর ব্যাটসম্যানরা। তবে শেষের দিকে সাধ্যের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেন আরাফাত সানি ও পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। সানি ১৭ বলে ১৮ রান করে আউট হলেও ১৩ বলে ১১ রান করে অপরাজিত থাকেন মোস্তাফিজ। তবে শেষ পর্যন্ত রাজশাহীকে থামতে হয় ১০৬ রানে।

এর আগে, ব্যাট হাতে শুরুতেই ঝড় তোলেন ঢাকা ডাইনামাইটসের দুই ওপেনার হজরতুল্লাহ জাজাই ও সুনিল নারাইন। দুজনে মিলে ১১৬ রানের জুটি গড়ে ঢাকাকে বড় সংগ্রহের ভিত্তি গড়ে দেন। জাজাই একাই করেন ৭৮ রান। অভিষেকেই ফিফটির দেখা পান এই আফগান। ২২ বলেই তুলে নেন এই ফিফটি। এর মাঝে ঢাকার পেসার আলাউদ্দিন বাবুর এক ওভারে ৩ চার ও ১ ছক্কায় তোলেন ২০ রান।

শেষ পর্যন্ত তাকে আউট করে রাজশাহী শিবিরে স্বস্তি ফেরান অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে আউট হওয়ার আগে ৪ চার ও ৭ ছক্কায় ১৯০.২৪ স্ট্রাইক রেটে দলের স্কোরে ৭৮ রান যোগ করেছেন জাজাই।

জাজাইয়ের বিদায়ের আগেই অবশ্য ২৮ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৮ রান করে মোহাম্মদ হাফিজের শিকার হন নারাইন। ১২৪ রানে ২ উইকেট হারানো ঢাকা পরপর সাকিব আল হাসান (২) ও কাইরন পোলার্ডের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায়।

তবে উইন্ডিজ অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল ও শুভাগত হোম অপরাজিত থেকে দলকে ১৮৯ রানের বড় সংগ্রহ এনে দেন। ১৯ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২১ রানে অপরাজিত থাকেন রাসেল। তবে শেষে মূল ঝড়টা তোলেন শুভাগত। মাত্র ১৪ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৩৮ রান করেন তিনি। মূলত এই দুজনের শেষের ঝড়েই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান সংগ্রহ করে ঢাকা।

বাজে ফিল্ডিং আর বাজে বোলিংই ডুবিয়েছে রাজশহী কিংসকে। কমপক্ষে ৫টি ক্যাচ মিস করেন রাজশাহীর ফিল্ডাররা। আর বল হাতে অকাতরে রান বিলিয়েছেন মিরাজ ও বাবু। মিরাজ ৩ ওভারে ৩৮ রান খরচে ১ উইকেট আর ৩ ওভারে ৫৩ রান খরচ করে কোনো উইকেটের দেখা পাননি বাবু।

অন্যদিকে ৩ ওভারে মাত্র ১৫ রানে ১ উইকেট পাওয়া হাফিজকে কেন শেষ ওভার করতে দেওয়া হলো না সেটাও এক অবাক করা বিষয়। এছাড়া ৩ ওভারে ২৩ রানে ২ উইকেট নেওয়া স্পিনার আরাফাত সানিকেও চার ওভারের কোটা পূর্ণ করতে দেয়নি রাজশাহী।