Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

kim-moon

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট জুন জে-ইনকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে এই চিঠিটিকে কিমের ‘বিরল’ ব্যক্তিগত চিঠি হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

chardike-ad

গতকাল রোববার চিঠি প্রাপ্তির কথা জানিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, কিম শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

বিবিসি বলছে, ওই চিঠিতে কিম আসন্ন নতুন বছরে মুনের সঙ্গে আবার দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। একইসঙ্গে কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন।

এর আগে চলতি বছরে এই দুই নেতা তিনবার দেখা করেছেন। তবে ডিসেম্বরে চতুর্থ বৈঠকটি হওয়ার কথা থাকলেও সিউল সফরে না যাওয়ায় চিঠিতে দুঃখ প্রকাশ করেন কিম। তবে অচিরেই সিউল সফরের তীব্র ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।

এদিকে চিঠি পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট মুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছেন, পারমাণবিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণের মাধ্যমে কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা পোষণ করে নতুন বছরে সাক্ষাৎ করার বিষয়ে কিমের আগ্রহে তিনি ‘অত্যন্ত আনন্দিত’।

তিনি বলেন, ‘আমরা যদি আন্তরিকতা নিয়ে দেখা করি, যেকোনো কিছু অর্জন করা অসম্ভব নয়। এই জায়গায় পৌঁছাতে অনেক সময় লেগেছে। আর এই এক বছরে বদলে গেছে অনেক কিছু।’

মুন আরও জানান, নতুন বছরে কিমকে স্বাগত জানাতে তিনিও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।

৬৫ বছরেরও বেশি সময়ের পর উত্তর কোরিয়ার প্রথম কোনো রাষ্ট্রনায়ক দক্ষিণ কোরিয়ার মাটিতে পা রাখেন। এ বছরের ২৭ এপ্রিলে দুই কোরিয়ার অসামরিকায়িত অঞ্চলের পানমুনজম গ্রামে ঐতিহাসিক বৈঠকে বসেন কিম ও মুন। ২৬ মে পানমুনজমে দ্বিতীয় বৈঠকে বসেন দুই নেতা। আর তৃতীয় বৈঠকটি ১৮ সেপ্টেম্বর উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে হয়। তবে কোরীয় যুদ্ধের বৈরিতার অবসান ঘটিয়ে এই দুই নেতা সাক্ষাৎ করলেও দু দেশের মধ্যে এখনও শান্তি চুক্তি হয়নি।