নির্বাচনে এই রকম পরিস্থিতি হবে ভাবতে পারেননি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। রোববার দুপুরে মতিঝিলের গণফোরাম অফিসে সংবাদ সম্মেলনে বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি।
নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতিতে গভীর দু:খ ও উদ্বেগ প্রকাশ তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর এই দৃশ্য দেখতে হলো। আজ জনগণের ভোটাধিকার নেই। অথচ এই রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। জনগণকে ঝড়, তুফান পেরিয়ে তার মালিকানার প্রমাণ দিতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। লাঠিয়াল বাহিনী, পুলিশ বাহিনী দেশের মালিকানায় আঘাত করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যফ্রন্টের আরেক প্রার্থী মোস্তফা মোহসিন মন্টু বলেন, আমি ঢাকা ৭ আসনের প্রার্থী। কিন্তু আমাকে ভোটের মাঠ থেকে সরে আসতে হয়েছে। মাঠ থেকে উঠে আসতে বাধ্য হয়েছি। আমার আসনের ১২২টি কেন্দ্রের সব পোলিং এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী, র্যাব এদেরকে বিচার দিয়ে কোনো লাভ হয়নি।
ঢাকা ৬ আসনের প্রার্থী এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, পরিস্থিতি চরমে পৌঁছেছে। আমাদের লোকজনকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি। লাঠিয়াল, পুলিশ বাহিনী একত্রিত হয়ে এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। ইভিএম মেশিনে ভোট কারচুপি হওয়া চাক্ষুষ দেখলাম। সেনাবাহিনীকে অভিযোগ করে লাভ হয়নি। এ অবস্থায় ভোট বর্জন করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোট বর্জন করলে ওরা সুযোগ পাবে যে, আমরা মাঠে নেই। তবে, আমরা ভোট কেন্দ্রের আশেপাশে নেই।