রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নৃশংসতার প্রতি উদাসীনতার জন্য মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচিকে ২০০৪ সালে দেয়া গাওয়াংজু মানবাধিকার পুরস্কার প্রত্যাহার করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার ‘মে ১৮ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন’।
মঙ্গলবার ফাউন্ডেশনটির পক্ষ থেকে একথা জানানো হয়েছে বলে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি’র বরাত দিয়ে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৪ সালে সুচি মিয়ানমারের সামরিক জান্তাদের হাতে গ্রেপ্তার থাকায় পুরস্কারটি গ্রহণ করতে পারেননি।
আরও বলা হয়, পরবর্তীতে সুচির দল মিয়ানমারের ক্ষমতায় এলে তিনি স্টেট কাউন্সেলরের পদে অধিষ্ঠিত হন। কিন্তু এক সময়ের গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন এবং নোবেলজয়ী এই নেত্রীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা মুসলিমদের দুরবস্থার প্রতি উদাসীনতা প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে।
গত বছর দেশটির সেনাবাহিনী নির্যাতনের মুখে রাখাইন রাজ্যের কয়েক লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানরা সেখান থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের আশ্রয় নেয়। জাতিসংঘের মতে, এই মুসলিম সংখ্যালঘুদেরকে টার্গেট করে এখনও গণহত্যা চালানো হচ্ছে। কিন্তু বরাবর এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন সুচি।
‘মে ১৮ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন’র মুখপাত্র চো জিন-তায়ে এএফপি’কে বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার প্রতি তার (সুচি) উদাসীনতা এই পুরস্কারের মূল্যবোধ ও মানের বিরোধী। বিশেষ করে মানবাধিকারের সুরক্ষার পরিপন্থী। তাই সোমবার ফাউন্ডেশনটির বোর্ড তার পুরস্কারটি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তিনি।
গত মাসে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে চালানো প্রতিজ্ঞাবদ্ধ নৃশংসতার প্রতি সুচির ‘স্পষ্ট উদাসীনতার’ কথা উল্লেখ করে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের সম্মানিত ‘অ্যাম্বাসেডর অব কন্সসিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রত্যাহার করে।
সৌজন্যে- আরটিভি অনলাইন