আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁও-এ নির্বাচন কমিশন ভবনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় ভোটের ভাগ্য সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে না দেয়ার নির্দেশও দেন কেএম নুরুল হুদা। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য পেশাদারিত্বের সাথে কৌশল অবলম্বন করেই আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে দায়িত্ব পালন করার পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়াও গত দুই দিন ধরে নির্বাচনি প্রচারণায় সহিংসতার ঘটনা ৫ জানুয়ারির পুনরাবৃত্তির পায়তাড়া কি-না? তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন সিইসি।
কেএম নুরুল হুদা বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পরের দিন ২ জনের মৃত্যর ঘটনাকে সাধারণ ঘটনা বলার সুযোগ নেই। এসব ঘটনা তৃতীয় কোনও শক্তির উত্থানের আলামত কিনা খতিয়ে দেখার জন্য সব গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশও দেন সিইসি।
নির্বাচনের সামগ্রিক প্রস্তুতি ইসি ৯৫% সম্পন্ন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভোটারদের ভোটের নিশ্চয়তা প্রদান করতে বদ্ধপরিকর নির্বাচনি সংশ্লিষ্ট সকলে।
এদিকে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ-নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবার সাথে বৈঠক ও কর্মশাল করে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন বিভাগে লোকবল।
জানা গেছে, এবার নির্বাচনে ১,২৯২ জন ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের মধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ৬৫২ জন ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৬৪০ জন।
এছাড়াও সারাদেশে ৪০,১৮৩ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১৯,৫৩১৬ জনসহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, ৩,৯০,৬৩২ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করনে।
এবার সারাদেশে ভোটকেন্দ্র ১,৯৫,৩১৬, ভোটার সংখ্যা ১০,৪২,৩৮৬৭৩ জন। পুরুষ ভোটার ৫২,৫৭,২৩৬২ জন মহিলা ভোটার ৫১,৬৬,৬৩১১ জন।