Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

iranইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুপরিচিতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে দু’দিনব্যাপী কারু ও চিত্রশিল্প প্রদর্শনী এবং খাদ্যমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৬ ও ৭ ডিসেম্বর রাজধানী তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে আয়োজিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশাপাশি ইরানি নাগরিকরাও অংশ নেন।

মেলায় বাংলাদেশিদের সকাল ও বিকেলের খাবার, দুপুর ও রাতের খাবারের নানা পদ তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া, বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে বাঙালিদের ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলোও প্রদর্শন করা হয়।

chardike-ad

উৎসবে বাঙালির প্রধান খাদ্য ভাত-মাছের পাশাপাশি দেশীয় নানা ভর্তা, বিরিয়ানি, পোলাও, রুটি, পরোটা, সবজি, গরুর ভুনা, মুরগীর তরকারি, ডাল, কাবাব, দই, পেঁয়াজু, পুলি পিঠা, সমুচা, সিঙ্গারা, রসগোল্লা, কালো জাম, জর্দা, জিলাপি, সেমাইসহ নানা রকমের ফলমূল স্থান পেয়েছে। মেলায় আগত অতিথিরা বাংলাদেশি খাবারের স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন।

পরে এসব খাবার দিয়েই আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়। বাঙালি ও ইরানিরা বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী, মুখরোচক ও স্বাস্থ্যসম্মত এসব খাবারের প্রশংসা করেন এবং খাবার তৈরির সঙ্গে জড়িতদের ধন্যবাদ জানান।

আপ্যায়ন পর্ব শুরুর আগে তেহরানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ কে এম মজিবুর রহমান ভূঁইয়া অতিথিদের উদ্দেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তিনি ইরানিদের উদ্দেশে বাংলাদেশি খাবারের পরিচিতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দূতালয় প্রধান মো. হুমায়ুন কবির, কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মো. সবুর হোসেনসহ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। এ ছাড়া, রেডিও তেহরানের সাংবাদিক, ইরানে কর্মরত নানা পেশার মানুষ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

উৎসব উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণকে বাংলাদেশের পরিচিতিমূলক নানা ছবি, পোস্টার ও তৈলচিত্র দিয়ে সাজানো হয়। স্থান পায় জাতীয় স্মৃতিসৌধ, রিকশা, সিএনজিচালিত অটো-রিকশা, ভ্যানগাড়ি, পালকি, গ্রামোফোন ও নৌকার রেপ্লিকা।

সৌজন্যে- জাগো নিউজ