Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

fahmidaআওয়ামী লীগ সরকারের দুই মেয়াদে দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে ২২ হাজার ৫০২ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। শনিবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত নিয়ে আমাদের করণীয় কী’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ তথ্য তুলে ধরে সিপিডি।

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় সেমিনারে ম‍ূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

chardike-ad

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে গেলো এক দশকে ব্যাংক থেকে সাড়ে ২২ হাজার ৫০২ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। যা পদ্মাসেতু নির্মাণ খরচের চার ভাগের তিন ভাগ। সংস্থাটির মতে, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৭ সাল অবধি সরকারি-বেসরকারি ও বাংলাদেশ ব্যাংক মিলিয়ে ১৪টি ব্যাংকের মাধ্যমে এসব অর্থ খোয়া গেছে। বাড়তি খেলাপি ঋণ, যাচাই-বাছাই ছাড়‍া ঋণ অনুমোদন, ঋণ দেওয়ায় রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার, ব্যাংকারদের পেশাদারিত্বের অভাবে চরম সংকটাপন্ন অবস্থায় এখন দেশের ব্যাংক খাত।

একইসঙ্গে রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংকের অনুমোদন, পরিচালনা পর্ষদে রাজনৈতিকদের যুক্ত করা, পরিচালকের দুর্বৃত্তায়ন, দুর্বল ব্যাংক ব্যবস্থাপনা ও সবশেষে ঋণ দেওয়ায় সরাসরি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে ভঙ্গুর হচ্ছে দেশের ব্যাংকগুলো।

ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শক্তিশালীকরণ, নতুন ব্যাংক অনুমোদন না দেওয়া, দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্তিশালী বিচারিক ব্যবস্থাসহ জরুরি ভিত্তিতে পাঁচটি ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি।

মূল প্রবন্ধে ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, বড় কয়েকটি জালিয়াতির মাধ্যমে গত ১০ বছরে ব্যাংকিং খাত থেকে ২২ হাজার ৫০২ কোটি টাকা লুট হয়েছে। সোনালী, জনতা, বেসিক, এবি, ফারামার্স, প্রাইম, প্রিমিয়ার, এনসিসি, মার্কেন্টাইল, ঢাকা, যমুনা, এনআরবি কমার্শিয়াল, শাহজালাল এবং কেন্দ্রিয় ব্যাংক থেকে এ টাকা লুট হয়েছে। এ টাকা দিয়ে অনেকগুলো উন্নয়ন কাজের অর্থায়ন করা সম্ভব হতো।

তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ, লোকসান ও মূলধন বেড়েছে। অনিয়মের ফলে মূলধন হারানো সরকারি ব্যাংকগুলোকে ১৫ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা দিয়েছে সরকার। প্রয়োজন না থাকলেও রাজনৈতিক বিবেচনায় নতুন নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে। ব্যাংকিং খাতকে পরিচালনা করার জন্য স্বাধীনভাবে কাজ করছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সৌজন্যে- বাংলা নিউজ