ঝকঝকে শরতের নীল আকাশের নিচের কোনো দ্বীপ যদি হঠাৎ গায়েব হয়, তাহলে সেটা শুধু অবিশ্বাস্য নয়, অদ্ভুতুড়েও বটে। কিন্তু এমনই একটি দ্বীপ চুরির ঘটনা ঘটেছে জাপানে।
জাপানের মূল ভূখণ্ডে হোক্কাইদো নামে একটি দ্বীপ আছে। উপকূলের সারাফুতসু নামে একটি গ্রাম থেকে এর দূরত্ব মাত্র ৫০০ মিটার। দ্বীপটির নাম হানাকিতা কোজিমা। কবে যে দ্বীপটি হারিয়ে গেছে কেউ কোনওদিন খেয়ালই করেনি।
বিষয়টি প্রথম নজরে আসে লেখক হিরশি শিমিজু। দ্বীপ নিয়ে একটি বই লিখছিলেন তিনি। লেখার গরজেই তথ্য জোগাড় করতে গিয়ে দেখেন বেমালুম গায়েব হয়ে গেছে দ্বীপটি। স্থানীয়দের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তারাও বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাতে পারেনি তাকে। তবে স্থানীয়রা বলছেন, অনেকদিন থেকেই তারা দ্বীপটিকে দেখতে পাচ্ছেন না। কয়েকজনের তো এমন সন্দেহ, আদৌ ওই দ্বীপটি সেখানে ছিল কি-না।
তবে তাদের এই সন্দেহ একেবারেই অমূলক। ওই দ্বীপটা যে কখনই ছিল না ব্যাপারটা সেরকম নয়। কেননা দ্বীপটির সেখানে থাকার যথেষ্ট প্রমাণ আছে। সমুদ্রতল থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার মিটার উঁচু ছিল দ্বীপটি। ১৯৭৫ সাল থেকে এটি জাপান ভূখন্ডের অন্তর্গত। জাপান সরকারই এর নাম রেখেছিল হানাকিতা কোজিমা। উপকূল থেকে স্পষ্ট দেখা যেত দ্বীপটি।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দ্বীপটি তো আর উধাও হয়ে যেতে পারে না। এর পিছনে অবশ্যই কোনও না কোনও কারণ আছে। খুব সম্ভবত সেটি হতে পারে ঝোড়ো বাতাস কিংবা তুষারপাত। সে কারণেই হয়তো পানির নিচে তলিয়ে গেছে সেটি। তবে সত্যিই যদি দ্বীপটি তলিয়ে যায়, তাহলে নতুন করে তৈরি করতে হবে জাপানের মানচিত্র।