মালয়েশিয়ায় বড় অঙ্কের রিঙ্গিত (মালয়েশিয়ার মুদ্রা) কুড়িয়ে পেয়েও তা সততার সঙ্গে কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়ে অনন্য নজির গড়লেন প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিক শেখ ফরিদ টিটু। তাঁর বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। ২০১৪ সালে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান শেখ ফরিদ টিটু। দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরে সিল কনসাল নামে একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে কাজ করেন তিনি।
গত সপ্তাহে কোম্পানির স্টোরে কাজ করার সময় ২০ হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিতের (প্রায় চার লাখ টাকা) একটি ব্যাগ খুঁজে পান টিটু। এত রিঙ্গিত পেয়ে প্রথমে ঘাবড়ে যান তিনি। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠে পরে তিনি স্টোর-সংলগ্ন কোম্পানি অফিসে রিঙ্গিতের ব্যাগটি হস্তান্তর করেন। এখন পর্যন্ত ওই রিঙ্গিতের মালিককে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
কিন্তু এ ঘটনায় ভূয়সী প্রশংসা পাচ্ছেন টিটু। সততার এক চমৎকার নজির হিসেবে দেখা হচ্ছে ব্যাপারটিকে। কোনো প্রকার লোভ-লালসা ছাড়াই এমন দৃষ্টান্ত বিরল। এতে করে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ব্যাপারে আস্থা আরো বৃদ্ধি পেল।
কয়েক বছর আগে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের মেয়ে মারিয়ানা মাহাথিরের কুড়িয়ে পাওয়া ব্যাগ ফেরত দিয়ে ব্যাপক প্রশংসিত হন মনির হোসেন নামের প্রবাসী এক বাংলাদেশি শ্রমিক। দেশটির গণমাধ্যমে ফলাও করে ছাপা হয় সেই সংবাদ।
আধুনিক মালয়েশিয়া গড়ার পেছনে বাংলাদেশি শ্রমিকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কথা সব সময়ই স্বীকার করে দেশটি। প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদও বলেন সেই অবদানের কথা। পরিশ্রম, সততা আর নিষ্ঠার কারণে বাংলাদেশিদের ব্যাপারে অন্য যেকোনো দেশের মানুষজনের চেয়ে অনেক বেশি ইতিবাচক ধারণা আছে মালয়েশিয়ানদের মধ্যে।