আর মাত্র ১০ দিন পরই অাসছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দ্বিতীয় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ হংসবলাকা। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১ ডিসেম্বর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এসে পৌঁছবে অত্যাধুনিক এই উড়োজাহাজ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে ৩০ নভেম্বর বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে উড়োজাহাজটি হস্তান্তর করবে বোয়িং কোম্পানি। ওইদিন স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় এটি ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ জানান, বিমানের নিজস্ব বৈমানিকই উড়োজাহাজটি পরিচালনা করে বাংলাদেশে নিয়ে আসবেন। এর আগে গত ১৯ আগস্ট রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সে যুক্ত হয় প্রথম ড্রিমলাইনার আকাশবীণা। ওই সময়ও বিমানের নিজস্ব বৈমানিক উড়োজাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল থেকে কোনো যাত্রা বিরতি ছাড়া টানা সাড়ে ১৪ ঘণ্টা উড়ে ঢাকায় নিয়ে আসেন।
জ্বালানি সাশ্রয়ী বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক এই উড়োজাহাজ চালনার জন্য বিমান ১৪ জন ক্যাপ্টেনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এর বাইরে সহ-বৈমানিক হিসেবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে আরও ১০ জন ফার্স্ট অফিসারকে।
শাকিল মেরাজ বলেন, দ্বিতীয় বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৮ উড়োজাহাজ আগামী ১ ডিসেম্বর দেশে এসে পৌঁছবে। এটি বিমান বহরে যুক্ত হলে এয়ারলাইন্সে উড়োজাহাজের সংখ্যা পৌঁছবে ১৬টিতে। দেশে আসার পর কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স, উড়োজাহাজের রেজিস্ট্রেশনসহ কিছু প্রক্রিয়া শেষ করতে পাঁচ থেকে সাতদিন সময় লাগবে। এসব প্রক্রিয়া শেষে হংসবলাকা বাণিজ্যিক ফ্লাইট চলাচলের জন্য উপযুক্ত হবে। সঙ্গে রয়েছেন কয়েকজন প্রকোশলী।
‘২৭১ আসনের এই উড়োজাহাজের মাধ্যমে বৈশ্বিক এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে বিমানের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়বে। এই উড়োজাহাজে আধুনিক প্রযুক্তির সব ধরনের সুবিধা পাবেন যাত্রীরা’,- বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, সিয়াটলের কারখানায় বর্তমানে হংসবলাকায় বোয়িংয়ের পেইন্টিংসহ শেষপর্যায়ের কিছু কাজ চলছে। এরপর এর টেস্ট ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। বিমানের বৈমানিক এই টেস্ট ফ্লাইটে অংশ নেবেন। লন্ডন ও গুয়াংজুসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ রুটে ব্যবহৃত হবে হংসবলাকা। তৃতীয় ও চতুর্থ ড্রিমলাইনার গাঙচিল ও রাজহংস বিমানের বহরে যুক্ত হবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ।