বোলিং, ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত। কিন্তু ব্যাটিংয়ে উল্টো চিত্র। হতশ্রী ব্যাটিংয়ে অসহায় আত্মসমর্পণ। ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বনিম্ন রানের লজ্জা। টি-টোয়েন্টির বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করল বাংলাদেশের নারীরা।
নিজেদের মাঠে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেটে ১০৬ রান সংগ্রহ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী ক্রিকেট দল। জয়ের জন্য যে এ রানই যথেষ্ট তা ভাবতেও পারেনি স্বাগতিকরা! ১০৬ রানের পুঁজি নিয়ে ক্যারিবীয়ান নারীরা ম্যাচ জিতেছে ৬০ রানে। ১০৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ সবকটি উইকেট হারিয়ে করেছে মাত্র ৪৬ রান।
নারীদের বিশ্বকাপে এটি বাংলাদেশের সর্বনিম্ন রান। লজ্জার হারের শুরুটা ভালোই ছিল। কিন্তু পেসার ডেন্ড্রা ডটিনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে পথ হারায় বাংলাদেশ। নবম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম ওভারেই নেন ২ উইকেট। পরের ওভারে আরও ২টি। নিজের তৃতীয় ওভারে কোনো উইকেট না পেলেও শেষ ওভারে বাংলাদেশের অধিনায়ক সালমার উইকেট নিয়ে প্রথম বারের মতো টি-টোয়েন্টিতে পাঁচ উইকেটের স্বাদ পান ডটিন।
মাত্র ৬ রানে ৫ উইকেট নিয়ে রেকর্ডও করেছেন ডানহাতি পেসার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলিং এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেরা বোলিং ফিগার এখন তার দখলে। বাজে ব্যাটিংয়ে দিনে দুই অঙ্কর ঘরে পৌঁছতে পারেননি বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান। দলের ৬ ব্যাটসম্যানই হয়েছেন বোল্ড আউট।
এর আগে পেসার জাহানার তোপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৪ ওভারে ২৩ রানে নেন ৩ উইকেট। লেগ স্পিনার রুমানা পান ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন সালমা খাতুন ও খাদিজাতুল কুবরা। বাংলাদেশের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো ব্যাটসম্যানই স্বাচ্ছন্দে ব্যাটিং করতে পারেনি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন সাতে নামা কাইসিয়া নাইট। ২৯ রান করেন অধিনায়ক টেলর।
ভালো বোলিংয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের ফিল্ডিং ছিল চোখ ধাঁধানো। ধারাভাষ্য থেকে বারবার প্রশংসিত হচ্ছিলেন ফারজানা, রুমানারা। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের বাজে ব্যাটিংয়ে বিশ্বমঞ্চে শুরুটা ভালো হলো না বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের পরবর্তী তিন ম্যাচ ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ১৩, ১৫ ও ১৯ নভেম্বর ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে।