Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

jsc-examঅনিবার্য কারণে রোববারের (৪ নভেম্বর) জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এদিনের নির্ধারিত বিষয়ের পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হবে আগামী শুক্রবার (৯ নভেম্বর) সকাল ৯টায়। রোববার সকাল ১০টা থেকে জেএসসির ইংরেজি প্রথম পত্র আর জেডিসির আরবি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।

শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের বাসায় সংশ্লিষ্টদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরীক্ষা স্থগিতের এ সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে সব বোর্ডকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

chardike-ad

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব সোহরাব হোসাইন (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ) ও মো. আলমগীর (কারিগরী ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক সামসুল হুদা, আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির চেয়ারম্যান ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হকসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে গুরুত্বপূর্ণ দফতর ও সংস্থার প্রধানরা এই জরুরি সভায় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, রোববার সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কওমি মাদরাসা শিক্ষার্থীদের একটি কর্মসূচি রয়েছে। সারাদেশ থেকে তারা ঢাকায় আসবে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

এতে রাস্তা-ঘাটে বাড়তি চাপ থাকবে। ফলে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে আসতে বিঘ্ন ঘটতে পারে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আমার বাসভবনে শনিবার (৩ অক্টোবর) সকালে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি জরুরি সভা করা হয়েছে।সেই সভায় আগামীকালের জেএসসি-জেডিসির সব পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো জরুরি এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

এদিকে পরীক্ষা স্থগিত করায় বিপাকে পড়েন বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা। তারা জানান, রোববারের নির্ধারিত পরীক্ষা পিছিয়ে শুক্রবার নেয়ায় গণিত ও ইংরেজিসহ গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পরীক্ষা টানা তিনদিন আয়োজন করা হবে। ছোট বাচ্চারা টানা তিনদিন পরীক্ষা দিলে পরীক্ষা ভালো হবে না। ফলে রেজাল্টা খারাপ হতে পারে। তাই পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়ায় তারা নতুন সমস্যায় পড়েন বলে অভিযোগ করেন।

তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, কোনো ধরণের ঝুকির মধ্যে পরীক্ষা আয়োজন করলে সেখানে একজন পরীক্ষার্থীও যদি তার কবলে পড়ে কেন্দ্রে পৌঁছাতে না পারে তার দায়-দায়িত্ব আমাদের।

এ কারণে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষাগুলো আয়োজন করতে সভায় পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পরীক্ষার্থীরা আগেই প্রস্তুতি নিয়েছে। তাই একটি পরীক্ষা পিছিয়ে গেলে তেমন কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। সংশ্লিষ্ট সকলের মতামতের ভিত্তিতে পরীক্ষা পিছিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির স্বীকৃতি দিয়ে সংসদে আইন পাস হওয়ায় রোববার সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘শোকরানা মাহফিল’ এর আয়োজন করেছে কওমি মাদ্রাসাগুলোর ছয় বোর্ডের সমন্বিত সংস্থা আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়্যাহ বাংলাদেশ। ওই অনুষ্ঠানে উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও হেফাজতে ইসলামের আমির আহমদ শফীর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

সোহরাওয়ার্দীর ওই অনুষ্ঠানকে ঘিরে রোববার রাজধানীতে যান চলাচলের জন্য বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি। ধারণা করা হচ্ছে, ওই অনুষ্ঠান উপলক্ষে সারাদেশ থেকে কওমি মাদরাসার সঙ্গে যুক্ত কয়েক লাখ মানুষ রাজধানীতে সমবেত হতে পারেন।