বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশ স্থান করে নিয়েছে। অর্থনীতির আকারের দিক থেকে দেশের তিন ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। চলতি বছরেই ৪০তম শীর্ষে আছে বাংলাদেশ। (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে আয়োজিত চতুর্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
কলকাতা মিশনের উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান-এর সভাপতিত্বে উন্নয়ন মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টপাধ্যায়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক সুগত মারজিত, ভারতীয় চেম্বার অব কমার্স-এর সভাপতি সীতারাম শর্মা এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টপাধ্যায় বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এখন তারই কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সকল বাধা ডিঙ্গিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছেন।
অধ্যাপক সুগত মারজিত বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে শিল্প ও শিক্ষা ক্ষেত্রে দেশটি অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে উন্নতি সাধনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আরো উন্নতি করার যথেষ্ঠ সুযোগ রয়েছে।
সুভাষ সিংহ রায় বলেন, বিশ্ব-অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে চলমান সংকট এবং অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে উদ্ভূত নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও যথোপযুক্ত সহায়ক মুদ্রানীতির প্রভাবে বাংলাদেশে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ভারসাম্য বজায় রয়েছে। এছাড়া, মাথাপিছু আয় বেড়ে ১৭৫২ মার্কিন ডলারে, রিজার্ভ প্রায় ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, রেমিট্যান্স প্রায় ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। দারিদ্র্যের হার ২৪.৩ শতাংশে নেমে এসেছে। বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের এই অর্থনৈতিক অগ্রগতি সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।
অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংগীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশের নূরজাহান আলীম, সবুজ, ও কলকাতার সৈকত মিত্র।