কব্জির ইনজুরিতে পড়ে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচ খেলে মঙ্গলবারই দেশে ফিরে এসেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ওপেনার তামিম ইকবাল। বুধবার দুপুরে ফোন করে তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা এবং হাতের ইনজুরির খোঁজ নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তামিম ইকবালকে ফোন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তোমরা দেশের সম্পদ। বহির্বিশ্বে দেশের মুখ দিন দিন উজ্জ্বল করছো। নিজেদের শরীরের প্রতিও যত্ন নিতে হবে। খেলায় হারজিত থাকবেই।’ ওইদিনের ম্যাচে সাহসী ভূমিকার জন্য তামিমকে ধন্যবাদ জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করানোর জন্য বলেন তামিমকে। কুণ্ঠাবোধ না করে যে কোনো বিষয় তাকে জানাতেও বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাট করার সময় বাম হাতের কব্জিতে চোট পান ওপেনার তামিম ইকবাল। মাঠ থেকে সোজা চলে যান হাসপাতালে। সেখানে স্ক্যান করে দেখা যায়, চিড় ধরা পড়েছে কব্জিতে। যার অর্থ, এশিয়া কাপেই আর খেলতে পারছেন না তিনি।
কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে, যখন মুশফিক একপাশে সেঞ্চুরি করে অপরাজিত, তখন অন্য পাশে একে একে সবাই আউট হয়ে যান। শেষ পর্যন্ত মুশফিককে সঙ্গ দিতে ভাঙা হাত নিয়ে মাঠে নামেন তামিম এবং পেসার সুরঙ্গা লাকমালকে এক বল মোকাবেলাও করেন তিনি।
তামিমের এই সাহসিকতার দারুণ প্রশংসিত হয় দেশে-বিদেশে। এমন পরিস্থিতিতে মাঠে নামার মতো সাহস সচরাচর কারও হওয়ার কথা নয়। কিন্তু তামিম সেই সাহস দেখালেন এবং মুশফিকের সঙ্গে অসাধারণ ৩২ রানের একটি জুটি গড়ে বাংলাদেশের জয়ের ভিত তৈরি করে দেন। শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৩৭ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ।