এই মুহুর্তে বিশ্বের সবেচেয়ে বয়স্ক মানুষের বয়স ১১৮ বছর। তার নাম জুলিয়া ফ্লোরস কোলকিউ। তিনি একজন নারী। এখনো তিনি দুর্বল কণ্ঠে, ভাঙা ভাঙা গলায় গুনগুন করে গান ধরেন। বাজান তার অনেক প্রিয় গিটার। বলিভিয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম সাকাবার বাসিন্দা এই নারী।
তার জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী, ১৯০০ সালের ২৬ অক্টোবর বলিভিয়ার পার্বত্য অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। নিজের চোখে দেখেছেন দুটি বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা। নিজের জন্মস্থান ছেড়ে সাকাবা গ্রামে চলে আসতে হয়েছে পরিবারসহ।
তিনি জানান, সে সময় অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে কেটেছে তার জীবন। গ্রামেই একটি ফলের দোকান ছিল তাদের। পরে নিজেও সেখানে কাজ করতে শুরু করেন। তিনি বিয়ে করেননি। তাই এখন সময় কাটান পোষ্যদের সঙ্গে। দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে তাদের আদর করে। শতবর্ষ অতিক্রম করেও তিনি মনের যৌবনকে ধরে রেখেছেন। নিজেই জানান, পাড়াতুতো নাতনি অগাস্টিন বেরনার হাতে তৈরি কেক ও সোডাই তার খাদ্য।
সূত্র জানায়, জুলিয়া ফ্লোরস কোলকিউর নাম গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এখনো কোনো প্রস্তাব জমা পড়েনি। তবে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ জাপানের নাবি তাজিমা। তার জন্ম ১৯০০ সালের ৪ আগস্ট। কিন্তু চলতি বছরেই তার মৃত্যু হয়েছে।
রেকর্ডধারীর মৃত্যুর ফলে জুলিয়া ফ্লোরস কোলকিউকেই এখন বিশ্বের জীবন্ত সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ বলে দাবি করা যায়। যে কারণে এই নারীকে বিশ্বের একমাত্র ‘জীবন্ত হেরিটেজ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন সাকাবার মেয়র। এমনকি সরকারি উদ্যোগে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে তার জীর্ণ বাড়ি।