জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় জেবির আঘাতে কমপক্ষে নয়জন নিহত হয়েছে। গত ২৫ বছরের মধ্যে এটাই জাপানের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। জেবির আঘাতে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কিয়োটো এবং ওসাকার মতো প্রধান প্রধান শহরগুলোতে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে জেবি।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিমানের ফ্লাইট, ট্রেন ও ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির শক্তি কমে এটা উত্তরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তবে ভূমিধস এবং বন্যার আশঙ্কায় লোকজনকে নিরাপদেই থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বুধবার সকালে প্রায় ১২ লাখ মানুষকে নিরাপদে আশ্রয় নেয়ার জন্য সতর্ক করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় জেবি ঝড়ো বাতাসসহ ঘণ্টায় ২১৬ কিলোমিটার বেগে আঘাত হেনেছে। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে দেশটির ওসাকা উপসাগরে একটি ট্যাংক ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া উপসাগরের একটি দ্বীপে অবস্থিত কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একাংশ পানিতে তলিয়ে গেছে।
তীব্র ঝড়ের কারণে স্কুল এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। নাগোয়া এবং ওসাকায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইটসহ প্রায় ৮শ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। চলতি গ্রীষ্মের শুরুতে পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় রেকর্ড পরিমান বৃষ্টিপাত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের আগেই প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে লোকজনকে দ্রুত নিরাপদে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সুরক্ষায় সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তিনি প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
ওসাকা এবং কিওয়াটোসহ জাপানের পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিধস, আকস্মিক বন্যা এবং তীব্র বাতাস, বজ্রপাতের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
১৯৯৩ সালের পর এটাই সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া দফতরের প্রধান রিউটা কুরোরা এএফপিকে বলেন, জেবির আঘাতে ঘণ্টায় ১৬২ কিলোমিটার বেগে তীব্র ঝড়ো বাতাস বয়ে গেছে। এই ঘুর্ণিঝড়কে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।