কর্মজীবনের শুরু ক্ষুর-কাচি সঙ্গী করে; মানে পেশায় নাপিত। কিন্তু এখন এই নাপিতের রয়েছে রোলস-রয়েস, মার্সিডিজ, জাগুয়ার, বিএমডব্লিউ’র মতো সব বিলাসবহুল গাড়ি! আর গাড়ির এ সংখ্যাটা যদি ৫০০ হয়? হ্যাঁ, সত্যিই; রমেশ বাবু নামের ভারতীয় এই নাপিতের রয়েছে ৫০০ গাড়ি। তার এই গল্পে যে কেউ প্রথমে ভিমড়ি খেতে বাধ্য।
একজন নাপিত কীভাবে এতসব বিলাসবহুল গাড়ির মালিক হতে পারেন? রমেশের জবাব, স্বপ্ন দেখাই ছিল আমার এ সফলতার বড় মূলমন্ত্র। কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায় থাকলে যে কোনো কিছুই যে অর্জন করা সম্ভব রমেশ বাবুর এই গল্প সেই নির্মম সত্যকে তুলে ধরেছে।
৪৮ বছর বয়সী সাবেক এই নাপিত তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল ব্যবসাও করছেন। রমেশের শুরুর দিকের গল্পটা অত্যন্ত কষ্টকর ছিল; প্রত্যেকদিনের চাহিদার জোগান করাটাই ছিল কঠিন লড়াইয়ের কাজ। কিন্তু এখন তার মালিকানায় রয়েছে ৫০০ বিলাসবহুল গাড়ির বহর।
মনোরামার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বলিউড বাদশাহ অমিতাভ বচ্চন, অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই, অভিনেতা আমির খান, কামাল হাসানসহ আরো অনেক তারকা রমেশ বাবুর গাড়ি ব্যবহার করেছেন।
তবে রমেশের বাবা মারা যাওয়ার পর তার চাচা দোকানের দখল নেন। দোকানে কাজের বিনিময়ে বাবুকে দিনে ৫ রুপি করে দেন তার ওই চাচা। প্রাথমিকভাবে একসঙ্গে কাজ করতে থাকেন, জমাতে থাকে টাকা। একসময় চাচার কাছে থেকে দোকান ফেরত নেন তিনি।
পরে নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সিঙ্গাপুরের টনি অ্যান্ড গাই হেয়ারড্রেসিং অ্যাকাডেমিতে কাজ নেন তিনি। রমেশ বাবু প্রথম যে গাড়ি কিনেন সেটি ছিল মারুতি ওমনি ব্র্যান্ডের। ভাড়ায় চালিত গাড়ির কোম্পানি চালু করেন তিনি। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
আজ রমেশের কোম্পানি ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস বেঙ্গালুরু, চেন্নাই ও দিল্লিতে ব্যবসা পরিচালনা করছে। মুম্বাই এবং গোয়াতে শিগগিরই এই কোম্পানির শাখা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন রমেশ। মালিকানায় ৫০০ গাড়ির বহর থাকলেও ক্ষুর এবং কাচি এখনো ছাড়েননি রমেশ বাবু।
সূত্র : খালিজ টাইমস।