তথ্য-প্রযুক্তি আইনের মামলায় রিমান্ডে থাকা আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমকে গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজত থেকে দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে শহিদুল আলমের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শহিদুলকে রিমান্ডে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ও তাকে হাসপাতালে পাঠানোর আবেদন জানিয়ে মঙ্গলবার (০৭ আগস্ট) তার স্ত্রী রেহনুমা আহমেদের করা রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ড. কামাল হোসেন ও ব্যারিস্টার সারা হোসেন।
এর আগে সোমবার (০৬ আগস্ট) বিকেলে রমনা থানায় পুলিশের করা তথ্যপ্রযুক্তির একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
পুলিশ ১০দিনের রিমান্ড চাইলেও শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান নূর তার বিরুদ্ধে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৫ আগস্ট (রোববার) রাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে শহিদুলকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরে সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, শহিদুল আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ওই মামলায় শহিদুলের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ফেসবুক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার এবং চলমান আন্দোলন নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত সৃস্টির অভিযোগ আনা হয়েছে।
শহিদুলের স্ত্রী রেহনুমা সংবাদ সম্মেলনে জানান, চলমান ছাত্র বিক্ষোভ নিয়ে শহিদুল সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন। ফেসবুকেও বিভিন্ন সময় লাইভে এসে কথা বলেন তিনি।
সৌজন্যে- বাংলানিউজ