প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষের হাতে হাতে এখন স্মার্টফোন। হালের জনপ্রিয় ধারা সেলফি উন্মাদনায় বুঁদ হয়ে আছে গোটা বিশ্ব। কিছু মুহুর্তকে ফ্রেমেবন্দি করে রাখতে সব বয়সী মানুষই এখন সেলফি তোলেন। তবে নানা ঢঙে, নানা ভঙ্গিমায় তরুণ-তরুণীদের সেলফি তোলার প্রবণতা বেশি। কিন্তু দিন দিন এ প্রবণতা মানুষের মধ্যে থেকে মানবিকতা হারিয়ে যাচ্ছে। যত্রতত্র সেলফি তোলা দিন দিন মানুষের কাছে অভ্যাসে পরিণত হচ্ছে।
রোববার এরকমই এক দৃশ্যের দেখা মিললো ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের বিমানবন্দর সড়কে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রতিদিনের মতো স্কুল শেষে বাসের জন্য বিমানবন্দর সড়কে অপেক্ষা করছিলেন শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীরা। হঠাৎ নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করতে থাকা মিরপুর রুটের জাবালে নুর নামের একটি বাস উঠে আসে তাদের ওপর। মুহুর্তেই ওলটপালট হয়ে যায় সব কিছু। বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী মারা যায়। আহত হয় আরও ১২ জন।
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন কলেজের অন্য শিক্ষার্থীরা। বিক্ষুব্ধরা তখন সেখানে যে গাড়ি পেয়েছেন সেটিই ভাঙচুর করেছেন। আর ভাঙচুর করা গাড়িগুলো তখন দাঁড়িয়ে আছে ঘটনাস্থলে। রাস্তায় ক্ষোভের এ বহিঃপ্রকাশের রূপ ধারণ করেছে। স্কুল শিক্ষার্থীর তাজা রক্ত তখনও সড়কে বইছে। সেই সময়ে এক তরুণকে দেখা গেলো সেখানকার দৃশ্য মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় সেলফি তুলছেন! আবার কেউ কেউ সেখানে দাঁড়িয়েই ফেসবুক লাইভে নিজেদের চেহারা দেখাচ্ছেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সমালোচিত হচ্ছে।